চলতি বছরের নভেম্বর মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলের মধ্যমে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ১১৩ কোটি ৭৫ লাখ মার্কিন ডলার। যা আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে প্রায় ৪ কোটি ডলার বেশি। অক্টোবরে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল ১০৯ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে রেমিট্যান্স বেশি আসলেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে সাড়ে ৪ কোটি ডলার। গত বছরের নভেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১১৮ কোটি মার্কিন ডলার।
এ নিয়ে চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) প্রবাসীদের পাঠানো মোট রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১৬ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ কোটি ডলার কম। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে মোট রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ৬২০ কোটি ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চার বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৩ কোটি ২৬ লাখ মার্কিন ডলার। ৩৬টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৭ কোটি ৭২ লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ৪২ লাখ মার্কিন ডলার। দুইটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ৩৪ লাখ মার্কিন ডলার।
বরাবরের মতো নভেম্বরেও সব চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৫ কোটি ৪৬ লাখ মার্কিন ডলার।
আলোচ্য সময়ে বিশেষায়িত বেসিক ব্যাংক, বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিদেশি হাবিব ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের মাধ্যমে কোনো রেমিটেন্স পাঠাননি প্রবাসীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। এর আগের ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রবাসীরা পাঠিয়েছিল ১ হাজার ৪২২ কোটি ৮৩ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রবাসীরা মোট এক হাজার ৪৪৬ কোটি ১১ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন।
বর্তমানে ১৫৭টি দেশে ৮৫ লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছেন।