মানিকগঞ্জে তরুণীকে ধর্ষণ,রক্ষক যখন ভক্ষক হয়, রাষ্ট্র তখন অকেজোর ভয়

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম সরকার,সহকারী সম্পাদক,১২ ফব্রেুয়ারি : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় এক তরুণীকে দুই দিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- সাটুরিয়া থানায় উপপুলিশ পরিদর্শক সেকেন্দার হোসেন ও সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম।

আজ মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।এর আগে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী সোমবার রাতে সাটুরিয়া থানায় অভিযুক্ত ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।সাটুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণের জন্য ওই তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা সোমবার রাতেই সম্পন্ন হয়েছে। পরে মঙ্গলবার ভোরে অভিযুক্ত ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়।এর আগে নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, সাভারের আশুলিয়া এলাকার তার এক খালা সাটুরিয়া থানার এসআই সেকেন্দারের কাছে প্রায় ৩ লাখ টাকা পাবেন। পাওনা টাকা আদায়ে গত বুধবার বিকেলে ওই খালা তাকে নিয়ে সাটুরিয়া থানায় যান। এ সময় এসআই সেকেন্দার তাদের দুজনকে নিয়ে থানাসংলগ্ন সাটুরিয়া ডাকবাংলোতে যান। কিছুক্ষণ পর সেখানে থানার এএসআই মাজহারুল ইসলাম হাজির হন। তরুণী ও তার খালাকে আলাদা কক্ষে আটকে রাখে তারা। এর পর ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা তরুণীকে ইয়াবা সেবন করিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। দুই দিন পর শুক্রবার সকালে তরুণী ও তার খালার হাতে ৫ হাজার টাকা তুলে দিয়ে সেকেন্দার তাদের সাটুরিয়া থেকে চলে যেতে বলেন। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে তরুণীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয় বলেও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী সাভারে ফিরে প্রথমে তার এক পরিচিত সাংবাদিকের কাছে এ ঘটনা জানান। সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে মৌখিকভাবে এ ঘটনা জানার পর মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার শনিবার রাতেই অভিযুক্ত এসআই সেকেন্দার ও মাহারুলকে থানা থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।