আগামী দু’দিনের মধ্যে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ আসছে

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ঢাকা প্রতিনিধি,২৮ জানুয়ারি : শীত বাংলাদেশে একটি স্বল্পস্থায়ী ঋতু। আর ঋতুচক্রে এখন হেমন্তকাল। কোনো বছর আগে এলে কিংবা দেরিতে এলেও প্রতিবারই দিন কয়েক তার তীব্রতা মানুষকে বেশ ভোগায়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এরই মধ্যে পুরো দেশকে একবার কাঁপিয়ে দিয়ে গেছে শৈত্যপ্রবাহ। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষ কাঁপছেন শীতে। শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও শীতে কাবু উত্তর জনপদের মানুষ।উত্তর গোলার্ধ জুড়ে চলছে শীতকাল। বাংলাদেশ এ গোলার্ধের একটি দেশ। দেশটির মধ্য দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে। এখানকার আবহাওয়াতেও তাই নিরক্ষীয় প্রভাব দেখা যায়। আর ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণেও এখানে জানুয়ারি মাসে তীব্র শীত অনুভূত হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলো জলবায়ুগত সব সমীকরণ উল্টে যেতে বসছে। ফলে শীত থাকলেও নেই আগের মতো শৈত্যপ্রবাহ।

এমন অবস্থায় রবিবার (২৭ জানুয়ারি) আবহাওয়া অধিদফতর দিচ্ছে একটি শৈত্যপ্রবাহের খবর। তারা বলছে, চলতি মাসের শেষ নাগাদ অর্থাৎ আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে দেশের গড় তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। যা কমে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামতে পারে। এর ফলে সারাদেশেই শুরু হতে পারে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ।এ বিষয়ে অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, চলতি মাসের শেষ দিকে দেশে আরো একটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে, যা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এটিই হতে পারে মৌসুমের শেষ শৈত্যপ্রবাহ। এরপর দেশে আর কোনো শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই। এরপরই এই বছরের মতো শীত বিদায় নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এদিকে, রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশাও পড়তে পারে।এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের সীতাকুণ্ডে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারে ৩২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।