বরুড়ার উপজেলা চেয়ারম্যানের ৬ দফা অভিযোগ ধোপে টিকলো না তদন্তকালে

SHARE

imagesওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,ঢাকা প্রতিনিধি,২৯ আগস্ট : কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ খালেক চৌধুরী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৬ দফা অভিযোগ দায়ের করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে। ২৯ আগস্ট বুধবার অভিযোগের তদন্তে আসেন সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মফিজ উদ্দিন। তদন্তকালে ১৫৪ টা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল প্রধান শিক্ষককে ডাকা হয়। অভিযোগ সম্পর্কে লিখিত প্রশ্নপত্রে সকলকে আলাদাভাবে বক্তব্য লিখতে বলা হয়। তদন্তানুষ্ঠানের উপস্থিত শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকল শিক্ষকগণই অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে লিখিত অভিমত প্রকাশ করেছেন। অভিযোগকারী উপজেলা চেয়ারম্যান তাঁর পক্ষে একজন শিক্ষককেও হাজির করতে পারেন নাই। সমবেত শিক্ষকদের পক্ষ থেকে সম্মিলিতভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। তদন্তকালে উপস্থিত কয়েকজন শিক্ষক জানান, অভিযোগগুলো উপজেলা শিক্ষা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে নয়, বরং সমগ্র প্রাথমিক শিক্ষা সমাজের বিরুদ্ধে। তিনি (অভিযোগকারী) এর পূর্বেও ৩ জন শিক্ষা কর্মকর্তাকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হেনস্তা করে এখান থেকে বদলী হতে বাধ্য করেছেন। বর্তমান শিক্ষা কর্মকর্তা বরুড়া উপজেলায় যোগদান করবার মাত্র ১২ দিনের মাথায় তিনি (চেয়ারম্যান) মন্ত্রনালয় ও অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে দিয়েছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্বে যখন বরুড়ার প্রাথমিক শিক্ষায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে ঠিক তখন উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব তাঁকে বদলী করবার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। শিক্ষকরা অভিমত রাখেন, একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে উদ্ভট টাইপের অভিযোগ এনে তদন্তকালে একজন শিক্ষককেও অভিযোগের সপক্ষে রাখতে না পারায় উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ খালেক চৌধুরীর মান-সম্মান ধূলায় মিশে গেছে। তাঁরা বলেন, আঃ খালেক ১৯৭১ সালে একবার পরাজিত হয়ে পাকিস্তানে পালিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দেশে ফিরেছেন। জীবন সয়াহ্নে এসে তিনি আরেকবার পরাজিত হলেন। কিছু শিক্ষক অবশ্য ভিন্ন মত প্রকাশ করে জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান দমে যাবার পাত্র নন। তিনি সম্প্রতি একটা ধর্ষন মামলা থেকে জিতে বের হয়ে এসেছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাঁকে রাজাকার বলায় বিষয়টি তিনি প্রেষ্টিজ ইস্যু হিসাবে নিয়েছেন। শিক্ষা অফিসারকে বদলী করবার জন্য তিনি যা করবার সবই করবেন। শিক্ষকেরা তাঁর ডাকে সারা না দেয়ায় তিনি ০-১ গোলে পিছিয়ে আছেন ঠিকই, কিন্তু তিনি স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির কয়েকজন সভাপতিকে সংগঠিত করে নতুন করে মাঠে নামবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “শিক্ষকদের ভূমিকায় আমি অভিভ‚ত। উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় যে ২/১ জন শিক্ষককেও তাঁর পক্ষে হাজির করতে পারবেন না এটা আমার ধারনার বাইরে ছিল। এই বিজয় প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের বিজয়।” তিনি আরো বলেন, “বরুড়ার শিক্ষকগণ আমাকে অনেক ঋনী করে দিয়েছে। তাঁদের প্রতি আমার কর্তব্য অনেক বেড়ে গেল।” তিনি সকল শিক্ষক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।।