ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,পাবনা প্রতিনিধি,২৮ আগস্ট : টানা ৯ দিন যন্ত্রণা ভোগ করে অবশেষে মারা গেলেন পেট্রলের আগুনে দগ্ধ কলেজছাত্রী মুক্তি খাতুন (২২)। সোমবার রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান তিনি।
মুক্তির ভাই নাছির উদ্দিন আজ মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আজই ঢাকা মেডিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে মুক্তির লাশ পাবনায় আনা হবে।দীর্ঘ ৯ দিনেও প্রধান আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।পেট্রলের আগুনে নিহত মুক্তি খাতুনের বাবা মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক জানান, তার মেয়েকে হত্যার মামলা করায় বিভিন্নভাবে আসামিরা তাকে হুমকি দিচ্ছে। আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে দেখে নেবে বলেও প্রচার করে আসছে। তিনি বাড়ি থেকে সাঁথিয়া থানা পুলিশের পাহারায় পুলিশের ভ্যানে যাতায়াত করছেন। মামলার প্রধান আসামি নাগডেমরা গ্রামের শাহজাহানের ছেলে সালাম ও কেসমত আলীর ছেলে জাহিদ গ্রেফতার না হওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।মোজাম্মেল হক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি এবং আমার পরিবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। স্থানীয় এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা সালামের পক্ষে থানায় তদবির করছে।’জানা গেছে, সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল হক এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আবদুস সালামের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ১৯ আগস্ট দিনের বেলায় সালাম ও জাহিদের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একদল সন্ত্রাসী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় মোজাম্মেল হক বাড়ি না থাকায় সন্ত্রাসীরা তার মেয়ে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দর্শন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মুক্তি খাতুনকে পেট্রল ঢেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।এদিকে এলাকায় আর কোনো সংঘর্ষ যাতে না হয়, সে জন্য মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেলের বাড়িতে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করেছে থানা পুলিশ।সাঁথিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মজিদ জানান, মুক্তি মারা যাওয়ার খবর তিনি শুনেছেন। তবে নিশ্চিত নয়। তিনি বলেন, যদি মারা যায়, তবে আগে দায়ের করা মামলা এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে। ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল আসামি সালাম ও জাহিদ পালিয়ে থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে শিগগির তারা গ্রেফতার হবে।