ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,ঢাকা প্রতিনিধি,১৩ আগস্ট : ফেসবুকে গুজব ছড়ানো ঠেকাতে বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একজন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর রাখার অনুরোধ করেছেন পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
আজ সোমবার (১৩ আগস্ট) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
আইজিপি বলেন, আমরা ফেসবুকের সঙ্গে একাধিকবার বসেছি। বাংলাদেশে তাদের একজন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর রাখার অনুরোধ করেছিলাম। সম্প্রতি আবারও অনুরোধ করেছি।
তিনি বলেন, ‘গত ২৯ জুলাই সড়ক দুর্ঘটনায় দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তায় নেমে আসেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের প্রতিবাদ ছিল যুক্তিযুক্ত। তারা মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন, আমরাও তাদের সহায়তা করেছি। পরবর্তীতে অনুপ্রবেশকারীরা হীন উদ্দেশ্যে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে গুজব ছড়িয়ে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক ভালো কাজ হয়, কিন্তু সবচেয়ে বেশি হয় গুজব ছড়ানো। বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিয়ে গুজব ছড়ানো কয়েকশ অনলাইন পোস্টদাতাকে আমরা শনাক্ত করেছি। ইতোমধ্যে ২১টি মামলা হয়েছে, সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। গুজব ছড়ানো কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। পুলিশ কাউকে হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে দেবে না।’
তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো এসব গুজবের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ে সদর দফতরে একটি শক্তিশালী সাইবার মনিটরিং ইউনিট গঠন করা হয়েছে। যাদের মাধ্যমে নিয়মিত সাইবার পেট্রোলিং করা হবে। এর মাধ্যমে প্রতিটি জেলাপর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কার্যক্রমগুলো মনিটরিং করা হবে।’
‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নাশকতা গোয়েন্দা ব্যর্থতা কিনা’- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটাকে আমি গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা বলে মনে করছি না। গোয়েন্দারা কাজ করছেন বলেই অনেককে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।’
‘দেশের বাইরে বসে অনেকে রাষ্ট্র ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালান। তাদের একজন সেফাতুল্লাহ। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কিনা’- জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘এ ধরনের কাজ যারা করছে তারা বিদেশ থাকুক আর যেখানেই থাকুক, আইনের বিঘ্ন ঘটালে ব্যবস্থা নেয়া হবেই। ইতোমধ্যে এ ধরনের অপরাধে কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধীরা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পলাতকদের মধ্যে দুজনের অবস্থানের তথ্য আমাদের কাছে আছে। তাদের একজন যুক্তরাষ্ট্র এবং আরেকজন কানাডায় আছেন। আমরা তাদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীসহ সরকারি পর্যায়ে এ বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত আছে।’