ফতুল্লায় শিশু নির্যাতনকারী পাষন্ডের বাড়ী হোমনায়

SHARE

37663767_116733542585771_906918533944836096_nওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,ঢাকা প্রতিনিধি,২৬ জুলাই : নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনকারী পাষন্ড দম্পতির বাড়ী কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কাশিপুরে।
অভিযোগের ভিত্তিতে আটক আতাউল্লাহ খোকন ওই গ্রামের মৃত. আব্দুল হাকিম মিয়ার ছেলে এবং উর্মি তার স্ত্রী।
অভিযোগে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অনাথ শিশু মাহিকে (৮) গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়ে দেহের ভিবিন্ন অংশ ঝলসে দেয় এবং মধ্যযুগিয় কায়দায় শারিরিক নির্যাতন করে হোমনার কলঙ্ক খোকন দম্পতি। শিশুটি নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে চিৎকার করলে প্রতিবেশী জাকির হোসেন শনি শিশুটিকে উদ্ধার করে। এঘটনায় শনিবার বিকালে প্রতিবেশী জাকির হোসেন বাদী হয়ে গৃহকর্তা আতাউল্লাহ খোকন ও তার স্ত্রী উর্মির বিরুদ্ধে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করলে ওই দম্পতিকে পুলিশ আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। এর আগে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। মামলায় জানা যায়, ফতুল্লার পূর্ব ইসদাইর আনন্দনগর এলাকার শহীদুল্লাহর বাড়ির ভাড়াটিয়া আতাউল্লাহ খোকন ও উর্মি আক্তার তাদের বাসায় ৩ মাস ধরে পিতা-মাতাহীন এতিম শিশু মাহিকে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজে নেয়। এরপর থেকে শিশুটি বাসায় প্রায় সময় কান্নাকাটি করত। শুক্রবার রাতে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে প্রতিবেশী জাকির হোসেন শনি স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে ওই দম্পতির বাসায় গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির হাতে ও মুখে বর্বর নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পায়। তখন শিশুটিকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, তাকে কারণে-অকারণে কাজে ভুল ধরে খুন্তি গরম করে হাতে ও শরীরে ছ্যাঁকা দিত।
কথায় কথায় মারধর করত। ২০-২৫ দিন আগে তার হাতে গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দেয়ায় তার ডান হাতের চামড়া উঠে যায়। শুক্রবারও সেই ক্ষত হাতে ফের ছ্যাঁকা দেয়া হয়। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের সাংবাদিকদের জানান, শিশুটিকে শহরের খানপুর ৩শ’ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শিশুটি অনাথ। তার কোনো আত্মীয়স্বজন না পাওয়ায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ওই বাড়ির প্রতিবেশী জাকির হোসেন শনি বাদী হয়ে নির্যাতনের নানা বিষয় উল্লেখ করে মামলা করেছেন। শিশুটি পুলিশের হেফাজতে আছে। আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এর পূর্বে হোমনার মনিপুরে দরিদ্র চা বিক্রেতাকে চায়ের কেটলির গরম পানি দিয়ে ঝলসে দিলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি নব্য যুবলীগে ঘারমোড়া ইউনিয়নের সভাপতি প্রত্যাশী মেহেদী আলম অপুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিলো অপুর বড় ভাই প্রভাবশালী ইঞ্জিনিয়ার হওয়ায় মোটা অংকের টাকায় সবাইকে ম্যানেজ করে ফেলে। ওরা কি ম্যানেজ করে ফেলবে এই দরিদ্র এতিম শিশুকে বর্বর নির্যাতনের পর এমন শঙ্কা এলার সুশিল সমাজের!