ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,চট্টগ্রাম ব্যুরো,১৯ জুন : বঙ্গোপসাগরের বাঁশখালী-কুতুবদিয়া চ্যানেলের সোনারচর এলাকায় ট্রলার ডুবিতে ট্রলারসহ বাঁশখালীর ২১ মাঝিমাল্লা নিখোঁজ হয়েছে। প্রায় এক সাপ্তাহ পূর্বে তারা সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়েন।
এই ঘটনায় বাঁশখালীর পুঁইছড়ির জেলেপাড়ায় নিখোঁজ মাঝিমাল্লাদের পরিবারের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মাঝিরা ট্রলারটি নিয়ে গত ৩০ মে বঙ্গোপসাগরের সোনারচর এলাকায় মাছ ধরতে যায়। গত ১২ জুন সেটি ঝড়ের কবলে পড়ে। এতে করে ২১ জন মাঝিমাল্লাসহ ট্রলারটি নিখোঁজ হয়ে যায়।
নিখোঁজদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বিপদের আশঙ্কা জেনেও কোন ব্যবস্থাগ্রহণ করেনি মালিক পক্ষ। শুধু তাই নয়, ১২ তারিখের ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার তথ্য জানিয়ে বোট মালিক বাঁশখালী থানায় জিডি করেছেন ১৪ জুন। এতে করে নিখোঁজ মাঝিমাল্লা ও জেলেদের খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজ হওয়া জেলে ও মাঝিমাল্লারা হলেন রাজহরি জলদাস (৫০), দধি গোপাল জলদাস (৫১), লিটন কান্ত্মি জলদাস (৩৬), বুলবুল জলদাস (৪৫), সুবল জলদাস (৩৮), সৌরভ জলদাস (৪১), জয়রাম জলদাস (৩৬), অনিল কুমার দাস (৪৬), কর্ণ জলদাস (৪০), বিমল জলদাস (৪৬), উপেন্দ্র লাল দাস (৭০), ব্রহ্মা পদদাস (৫১), সজল কান্ত্মি দাস (৪২), নিরঞ্জন দাস (৪৮), বুলবুল দাস (৪৬), মদন দাস (৩৮), লিটন কৈবর্ত (৩৮), জিয়া জলদাস (৩৫) এবং ফিশিং বোটের মাঝি অন্ন কৈবর্ত (৩৮)। এর মধ্যে ১৮ জনের বাড়ি বাঁশখালী উপজেলায়। এছাড়া নিখোঁজের মধ্যে চকরিয়া, কুতুবদিয়া উপজেলা এবং লক্ষ্মীপুর জেলার একজন করে রয়েছেন।
স্বজনদের অভিযোগ, লঘু চাপের কারণে উত্তাল সাগরে ট্রলার নিখোঁজ হওয়ার তথ্য অবগত হওয়ার পরও প্রশাসন, পুলিশ এবং কোস্টগার্ডকে জানাতে অনেক বিলম্ব করেছেন মালিক। তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা নিয়ে উৎকণ্ঠিত পরিবারগুলো।
বাঁশখালী থানা পুলিশ সুত্র জানায়, সাধারণ ডায়রির পর তাৎক্ষণিকভাবে উপকূলবর্তী সব থানা, কোস্টগার্ড এবং প্রশাসনকে বার্তা পাঠানো হয়েছে। সে অনুযায়ী বোট ও জেলেদের উদ্ধারের চেষ্টাও চলছে।