ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা

SHARE

Untitled-1-5a8571f1b5e6dওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,লোহাগড়া প্রতিনিধি,১৫ ফেব্রুয়ারি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক লতিফুর রহমান পলাশকে (৪৭) প্রকাশ্যে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রকাশ্যে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত পলাশ উপজেলার কুমড়ি গ্রামের মৃত গোলাম রসুল শেখের ছেলে। তার বড় ভাই জেলা পরিষদ সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু।

নিহতের স্বজনেরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে দিঘলিয়ার বাড়ি থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে একটি সভায় অংশগ্রহণের জন্য উপজেলা পরিষদে যান পলাশ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা অফিসের সামনে উপজেলা নির্বাচন অফিস এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় তিন থেকে চারজনের একটি গ্রুপ তাকে প্রথমে গুলি করে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা তাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে মোটর সাইকেলে পালিয়ে যায়। পরে পলাশকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবাশিষ বিশ্বাস জানান, তার শরীর থেকে দুইটি গুলি বের করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যাানের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যূ হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের নেতা পলাশ হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে দুপুরে উপজেলা আ’লীগের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান রুনু সিকদার সমকালকে বলেন, এলাকায় গ্রাম্য কোন্দল ও স্থানীয় আওয়ামী লীগে গ্রুপিং ছিল। এই হত্যার কারণ সম্পর্কে এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।

নড়াইলের পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে তাদের আইনের আনা হবে বলে জানান।

লোহাগড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠনো হচ্ছে। নিহতের গ্রাম কুমড়িসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের কারণ এবং এ ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে লতিফুর রহমান পলাশ আ’লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। দিঘলিয়া ইউপির কুমড়ি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুটি পক্ষ রয়েছে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্ধ-সংঘাত চলে আসছিল।