ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,পটিয়া প্রতিনিধি,১৩ ফেব্রুয়ারি : দীর্ঘদিনের প্রেম। এরই মাঝে দুইজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক। অতঃপর প্রেমিকের প্রস্থানের চেষ্টা। পরে থানায় ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ প্রেমিকার। এরপর ৫০ হাজার টাকা পাওনার দাবিতে প্রেমিকের বিরুদ্ধে প্রেমিকার পাল্টা অভিযোগ!
গত তিনদিন ধরে এভাবেই অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ নিয়ে ‘টক অব দ্যা পটিয়া’য় পরিণত হয় এই যুগলের কাণ্ড । অবশেষে পটিয়া আসনের এমপি সামশুল হক চৌধুরী এবং পটিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ’র হস্তক্ষেপে যুগলজীবনে এলো বসন্ত! সোমবার রাতে ৫ লাখ টাকা দেন মোহরে পটিয়া থানায় বিয়ে হলো তাদের।
জানা গেছে, পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডস্থ লালপোল এলাকার বাসিন্দা রহিম আলীর ছেলে মোহাম্মদ নওশেদের সাথে একই এলাকার কলেজ পুড়ায়া এক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এক পর্যায়ে তারা শাররীক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। কিন্তু সম্পতি ওই ছাত্রী বিয়ের প্রস্তাব দিলে প্রেমিক বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর প্রেমিকা তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন।
পরে প্রেমিক নওশেদ প্রেমিকার বিরুদ্ধে ৫০ হাজার পাওনা টাকার দাবি ও তাকে মারধরের পাল্টা অভিযোগ করেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পটিয়ায় গত তিনদিনে টক অব দা টাউনে পরিনত হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কোলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আবু বক্কুর জানান, প্রেমিকা গরীব পরিবারের সন্তান হওয়ায় প্রেমিক তার সাথে প্রতারণা করতে নানা তালবাহানা করেছিল। এ বিষয়ে তিনি এবং স্থানীয় লোকজন এমপির কাছে হন। এমপি পটিয়া থানার ওসিকে ব্যবস্থা নিতে বলেন।
পরবর্তীতে প্রেমিকার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেমিককে আটক করে পটিয়া থানা পুলিশ।
পটিয়া থানার এসআই মোহাম্মদ আনোয়ার জানান, প্রেমিককে আটকের পর সোমবার রাতে ৫ লাখ টাকা কাবিনে তাদের বিয়ে হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ জানান, প্রেমিক যুবককে দুপুরে আটক করা হয়েছিল। পরবর্তীতে উভয় পক্ষ বিয়েতে সম্মত হওয়ায় এবং তাদের বয়স বিবেচনায় পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়। এরপর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এর মধ্যদিয়ে ইভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের সুরাহা হয়েছে।