পুরুষ নিষিদ্ধ গ্রাম!

SHARE

women.abnews24_123809ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,০২ ফেব্রুয়ারি :  মিশরে একটি গ্রামের সন্ধান পাওয়া গেছে যেখানে কেবল পুরো গ্রামজুড়েই শুধু নারীদের বাস। গ্রামটিতে পুরুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। সামাহা নামের ওই গ্রামটিকে তিন শতাধিক নারী বসবাস করেন।

গ্রামটিতে কোনো নারী যদি কোনো পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক করতে চাই। তাহলে তাকে সে গ্রাম থেকে বের করে দেয়া হয়।

দক্ষিণ মিসরের আসওয়ান শহর থেকে ১২০ কি.মি দূরে অবস্থিত গ্রামটিতে সরকার বৃদ্ধা, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য বরাদ্দ করেছে। পশু-পাখি পালন ও চাষাবাদ করে জীবন ধারণ করেন ওই গ্রামের নারীরা।

সৌদি গেজেট জানিয়েছে, গ্রামটির ৩০৩টি পরিবারে শুধু নারী ও মেয়ে শিশুর বাস করে। প্রত্যেক নারীকে একটি করে বাড়ি ও এক খণ্ড করে জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও সংগঠন তাদের গৃহসামগ্রী ও কৃষি উপকরণ সরবরাহ করে। কৃষিকাজের জন্য স্বল্পমেয়াদি ঋণও দেয়া হয়।

গ্রামের প্রধান তত্ত্বাবধানকারী হামদি আল কাশেফ বলেন, ‘এ প্রকল্পটি শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। সে সময় কৃষি মন্ত্রণালয় শুধু তালাকপ্রাপ্ত ও বিধবা নারীদের জন্য দুটি গ্রাম বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।’

আফ্রিকার দেশ কেনিয়াতেও একই ধরনের একটা গ্রাম দেখা যায় । গ্রামটির নাম ‘উমোজা’। এখন থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে রেবেকা লোলোসোলি নামের এক নারী এ গ্রামের গোড়াপত্তন করেন এবং পুরুষদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করেন। তিনি নারীকে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নির্যাতন ও লাঞ্ছনা থেকে বাঁচাতে ওই গ্রাম প্রতিষ্ঠা করেন। তিনিই বর্তমানে ‘উমোজা উসাউ উইমেন্স ভিলেজ’-এর প্রধান হিসেবে কাজ করছেন।

এমন আরো একটি গ্রাম রয়েছে ব্রাজিলে। দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের নোইভা ডো করডেরিয়ো এমন একটি গ্রাম যেখানে শুধু সুন্দরী নারীরাই বাস করেন। ১৮৯০ সালে এক মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়া হয়। এরপর শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে তিনি চলে আসেন গ্রামটিতে।

মারিয়া সেনহোরিনা ডে লিমা নামের সেই মেয়েটি ১৮৯১ সালে এই গ্রামের পত্তন করেন। গ্রামটির সন্ধান পাওয়ার পর আরও অনেক নারীই সেখানে এসে বসবাস শুরু করেন। যারা বিয়ে করতেন চান না তারা বা যারা একা থাকতে চান তারা এই গ্রামে বাস।