ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,হোমনা প্রতিনিধি,২৯ ডিসেম্বর : কুমিল্লার হোমনা উপজেলার চান্দেরচর ইউনিয়নের শ্রীনগর থেকে গলাকাটা অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া যুবকের ঘটনায় চরম রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ২১ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে শ্রীনগর বালুর মাঠের খড়ের স্তুপ থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হোমনা সরকারী হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হয়। গলাকাটা যুবক হাবিব রামকৃষ্ণপুর আড়ালিয়া গ্রামের মো. হাফেজ মিয়ার ছেলে।
এদিকে ঘটনার ৮দিনেও থানায় মামলা না করায় এবং চিকিৎসার নামে নানাহ নাটকিয়তা নিয়ে এলাকায় মুখরোচক কথা বার্তার চাউড় শুনা যাচ্ছে। এলাকাবাসী বলছে প্রতিবেশী চাচীর সাথে পরকিয়ার ঘটনা জানা জানি হওয়ায় রহস্যজনকভাবে এই ঘটনা ঘটে। আর এই নিয়ে চাচী ও হাবিবের পরিবারের মধ্যে মিট-মিমাংসার জন্য গোপনে স্থানীয় একটা মহলের সাথে গোপন বৈঠকও করা হচ্ছে।
এদিকে হাবিবের সাথে সম্পর্কে তার এক চাচির দীর্ঘদিন ধরেই পরকিয়ার ঘটনা ছিলো বলে এলাকায় মানুষের মাঝে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে। আর এই কথা হাবিবের বাবা-মাসহ সবাই স্বিকারও করেছে। তবে কি কারনে ছেলের এমন পরিনতি তা বলতে নারাজ হাবিবের পরিবার। তবে এলাকাবাসী মনে করছে পরকিয়ার ঘটনা জানাজানি হওয়াতেই লজ্জায় অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে অথবা চাচীর কোন আত্মীয় দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলেও এমন ঘটনার চাউর শুনা যাচ্ছে; তবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর হুমকি দেয়ায় ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাচ্ছে না। এই ঘটনা গোপনে রফা-দফার চেষ্ঠা করা হচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে। এ নিয়ে গত ২৭ ডিসেম্বর বিকালে স্থানীয় সমাজ মো. আলমগীর হোসেন হাবিবের বাবা-মা ও চাচীকে তার বাড়ীতে নেয়। কি কারণে তাদের ডেকে নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে মো. আলমগীর হোসেন সাংবাদিককে মোবাইলে জানান, “ঘটনা জানতে হলে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।” চাচির সাথে পরকিয়ার ঘটনা সত্য কি না? জানতে চাইলে তিনি মসজিদে যাবে বলে লাইন কেটে দেয়।
এবিষয়ে হাবিবের মা সেনোয়ারা বেগমের কাছে জানতে চাইলে সে প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের জানায়, ঘটনার দিন রাতে প্রতিবেশী দু’জন আত্মীয় তার ছেলের চরিত্র সম্পর্কে বিচার দিয়ে যায়। এসময় হাবিব কথাগুলো শুনে লজ্জায় ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরদিন দুপুরে খবর পেয়ে শ্রীনগরের একটি খড়ের স্তুপের ভিতর থেকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
আপনার ছেলেকে তো ঢাকা হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে সাথে সাথে ছেড়ে দিয়েছে। কিন্ত এরপরও বাড়িতে না এনে এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে কেনো জানাচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রথমে হাসপাতালে আছে বলেই চালিয়ে দেয়ার চেষ্ঠা করে। পরে সত্য স্বিকার করে বলেন, হাসপাতালে সিট খালি না থাকায় এক আত্মীয়র বাসায় রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে হাবিবের জেঠা ছিদ্দিক মিয়ার সাথে কথা হলে সে সাংবাদিকদের জানায়, হাবিবের সাথে তার চাচির কি সম্পর্ক নিয়া মানুষ নানাহ কথা বলা-বলি করছে। তাই আলমগীরের বাড়ীতে আমাদের ডেকেছে। আমার মা ও হাবিবের চাচী আলমগীরের বাসায় রইছে, আমরা আইয়া পরছি। ওরা কি কয়, তা তো আর বলতে পারবো না।
ঘটনা জানার জন্য চাচীর সাথে কথা বলতে তার বাসায় গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও বাসায় না পাওয়ায় তার কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেকেই জানায়, হাবিবের গলাকাটার বিষয়ে তার চাচিকে আটক করে এবং তাদের উভয়ের মোবাইলের কললিষ্টের সূত্র ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই ঘটনা উদঘাটন করা সম্ভব হবে। প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ এবিষয়ে সমাজের কোন সাধারন মানুষকে জেনো হয়রানী না হতে হয়।