ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,রাজধানী প্রতিনিধি,১৯ ডিসেম্বর : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামীকাল বুধবার রাজধানীর বকশী বাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু হবে।
এর আগে আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে এ মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে উপস্থিত হন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এর পরপরই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন।
তিনি বলেন, ‘বিদেশি অনুদানের অর্থ এতিমদের কল্যাণে খরচ না করে আসামিরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে হস্তান্তর, রূপান্তর করেছেন। বছরের পর বছর তারা ওই অর্থ পাচার করেছেন।’
রাষ্ট্রপক্ষের ৩২ জন সাক্ষীর কারো জবানবন্দিই আসামিপক্ষ জেরা করে খণ্ডন করতে পারেনি বলে দাবি করেন দুদকের আইনজীবী।
এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে মোট ৭ দিন বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত ৫ ডিসেম্বর তার সেই বক্তব্য শেষ হলে বিচারক মো. আখতারুজ্জামান যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য ১৯, ২০ ও ২১ ডিসেম্বর দিন রাখেন।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৫ অগাস্ট তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
তার ৫ বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ অভিযোগ গঠন করে খালেদাসহ ৬ আসামির বিচার শুরু করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।
খালেদা জিয়া, সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ এ মামলায় জামিনে আছেন। খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান গত নয় বছর ধরে দেশের বাইরে, তার বিরুদ্ধে এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এছাড়া কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।