ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,আদালত প্রতিবেদক,০৭ ডিসেম্বর : রাজধানীর কাফরুলের আলোচিত কলেজছাত্র মোমিন হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় জনের যাবজ্জীবন রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ মামলার অন্যতম আসামি ওসি রফিক মৃত্যুবরণ করায় তাকে এ মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে বুধবার নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষ হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাখাওয়াত হোসেন জুয়েল ও তারেক ওরফে জিয়া। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হাবিবুর রহমান তাজ, জাফর আহমেদ, মনির হাওলাদার, ঠোঁট উঁচা বাবু, আসিফুল হক জনি ও শরিফ উদ্দিন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ ও নির্মল কুমার দাস। আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আইনজীবী এ কে এম তৌহিদুর।
রায়ের পরে বশির আহমেদ বলেন, ‘আদালত ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ করেছেন। বিচারিক আদালতের দণ্ড বহাল রেখেছেন।’
২০১১ সালের ২০ জুলাই আদালত ওসি এ কে এম রফিকুল ইসলামসহ তিন জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এর মধ্যে ওসি রফিক মারা যান।
২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর খুন হন কলেজছাত্র মোমিন। এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের বাবা আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে মতিঝিল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম রফিকুল ইসলামসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২০ জুলাই দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওসি রফিকসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান তাজসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে ওসি রফিক কারাবন্দি অবস্থায় ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর মারা যান।
ঢাকা কমার্স কলেজের ছাত্র মোমিন জাসদ ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।