ঢাকাবাসীকে কাঁদিয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত মেয়র আনিসুল হক

SHARE

anisul-haque_113409ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,০৩ ডিসেম্বর : কাঁদছে নগর, কাঁদছে ঢাকাবাসী। প্রিয় মেয়রকে হারিয়ে কাঁদছেন সর্বস্তরের মানুষরা। কান্নার রোল পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও।  কী করে ভুলবে ঢাকাবাসী এমন ভালোবাসার মানুষকে! তবুও যে বিদায় দিতে হয়। সবাইকে কাঁদিয়ে চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক।

গতকাল শনিবার বিকেল সোয়া ৫টায় বনানী কবরস্থানে ছোট ছেলে শারাফুল হকের কবরে দাফন সম্পন্ন হয়েছে মেয়র আনিসুল হকের।ঢাকাবাসীকে কাঁদিয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত মেয়র আনিসুল হক

বিকেল ৪টা ১৯ মিনিটে আর্মি স্টেডিয়ামে মেয়রের জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। মন্ত্রী, এমপিসহ রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এতে অংশ নেন।

নামাজে জানাজার আগে আর্মি স্টেডিয়ামে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের প্রতি সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সরোয়ার হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন, স্পিকার শিরীন শারমিনের পক্ষে ক্যাপ্টেন মোশতাক আহমেদ, আওয়ামী লীগের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন, সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ ছাড়া বিজিএমইএ, এফবিসিসিআই, বিকেএমইএ তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এরপর আর্মি স্টেডিয়ামের চারটি ফটক দিয়ে হাজারো মানুষ সারিবদ্ধভাবে স্টেডিয়ামে ঢোকেন। একে একে সবাই মেয়রকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান।
মেয়র আনিসুল হকের জানাজা সম্পন্ন

আজ শনিবার বেলা একটায় আনিসুল হকের মরদেহ বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজটি (বিজি ০০২) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এ সময় বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। আনিসুল হকের ছোট ভাই সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মো. শফিউল হকও উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই ব্যক্তিগত সফরে সপরিবার যুক্তরাজ্যে যান মেয়র আনিসুল হক। অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৩ আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার শরীরে মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগ ‘সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস’ শনাক্ত করেন চিকিৎসকেরা। এরপর তাকে দীর্ঘদিন আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। একপর্যায়ে মেয়রের শারীরিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তার কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র খুলে নেওয়া হয়। কিন্তু মঙ্গলবার মেয়রের পরিবারের একজন সদস্য বলেন, রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাকে আবার আইসিইউতে নেওয়া হয়। এরপর তার ফুসফুসও আক্রান্ত হয়।  গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন মেয়ন আনিসুল হক।