ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,০৫ নভেম্বর : পরকীয়া প্রেমের জেরেই রাজধানীর বাড্ডায় বাবা-মেয়ে খুন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মধ্যবাড্ডার হোসেন মার্কেটের পেছনে ময়নারবাগের একটি চারতলা বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে গাড়িচালক জামিল হোসেন (৩৮) ও তার ৯ বছর বয়সী মেয়ে নুসরাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জামিলের স্ত্রী আরজিনা বেগম (৩০) ও তার প্রেমিক শাহিন মল্লিক (২৬) পূর্বপরিকল্পনা করে এ হত্যাকাণ্ড করেছে বলে জবানবন্দি দিয়েছেন শাহীন। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের একজন বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় এই জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
শাহিন বলেন, ‘আরজিনা এবং আমি পাশাপাশি থাকার কারণে দুজনের সম্মতিতে আমাদের মাঝে একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রথমে আরজিনা আমাকে প্রস্তাব করে। একপর্যায়ে আরজিনা বাসা থেকে তার বাবার বাড়ি চলে যায়। দুই মাস পর সে আবার জামিলের সংসারে ফিরে আসে।’
‘আরজিনার পরিবার আমাদের সম্পর্কটা মেনে নিতে পারেনি। এ কারণে আরজিনা আমাকে বলে, সংসার করতে চাইলে আগে জামিলকে খুন করতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী আমি আমার এক বান্ধবীকে দিয়ে একটি ফার্মেসি থেকে ঘুমের ওষুধ আরজিনাকে এনে দিই।’
‘আরজিনা সেই ঘুমের ওষুধ করলার তরকারির সঙ্গে মিশিয়ে জামিলকে খাওয়ায়। জামিল ঘুমিয়ে পড়লে আমি তাকে কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করি। জামিলকে মারার দৃশ্য নুসরাত দেখে ফেলায় তাকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলি।’
শাহিন জানান, ‘আমি তাদের মারতে চাইনি। হঠাৎ একটা এক্সিডেন্ট হয়ে গেছে। জীবনে প্রথম এমন কাজ করেছি। জীবনে আর এমন কাজ করব না।’
এদিকে, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আরজিনা আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
তার ভাষ্যমতে, “জামিলকে হত্যার পর শাহীন আরজিনাকে বলে, নুসরাতকে বাঁচিয়ে রাখলে ঘটনা ফাঁস হয়ে যাবে। তখন বিয়েতো হবেই না, দুইজনকেই জেলে যেতে হবে। বরং তাকে মেরে ফেললে জামিল শেখের হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী থাকবে না। তাই জামিলকে খুন করার কয়েক মিনিট পর নুসরাতকেও হত্যা করা হয়।”