‘জাতীয় চার নেতার ঘাতকরা এখনও চক্রান্তে লিপ্ত’

SHARE

pmওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,০৩ নভেম্বর :  যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে এবং উন্নয়ন বিঘ্নিত করতে প্রতিক্রিয়াশীল চক্র সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এই অপশক্তির দেশবিরোধী চক্রান্ত নস্যাৎ করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ইতিহাসে ৩ নভেম্বর কলঙ্কময় ও বেদনাবিধুর একটি দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, তার অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, দেশবাসী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখবেন। সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতা। এ ধরণের বর্বর হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। ষড়যন্ত্রকারীরা এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলার মাটি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশুন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।

পচাঁত্তরের সেই ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদাতারা পরবর্তী ২১ বছর দেশের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শাসকগোষ্ঠী কখনও সামরিক লেবাসে, কখনও গণতন্ত্রের মুখোশ পরে, অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখে। আত্মস্বীকৃত খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে। হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করে। তারা খুনিদের রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি রাজনীতিতে পুনর্বাসন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনে। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় কার্যকর করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে রায় কার্যকর করা হচ্ছে।