ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,জাবি প্রতিনিধি,১০ অক্টোবর : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়ার অভিযোগে তিন জনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদের মধ্যে দু’জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
সোমবার ২য় শিফটের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সাভারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণব কুমার ঘোষ ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় এ দ- দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কামরুজ্জামান রাজ্জাক ও মোহাইমিনুল ইসলাম সালমান। আর আবদুল আল নোমানকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
জানা যায়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান রাজ্জাক। যিনি জাবির ‘এ’ ইউনিটে মেহেদী হাসান নামের এক শিক্ষার্থীকে ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে ভর্তি করিয়ে দিবে এ চুক্তি করে। চুক্তি অনুসারে রাজ্জাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ৪০৫নং রুমে প্রক্সি পরীক্ষা দিতে আসে। এ সময় প্রবেশ পত্রের সাথে ছবির মিল না পাওয়ায় শিক্ষকরা তাকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাবির ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মোহাইমিনুল ইসলাম সালমান ও তার বন্ধু আবদুল আল নোমানকে আটক করে প্রশাসন।
আটক হওয়ার পর রাজ্জাক প্রক্সি দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি আমার বন্ধু মোহাইমিনের কথায় পরীক্ষা দিতে এসেছি। ও বলেছিলো এখানে পরীক্ষা দিতে কোন সমস্যা নাই, চেক করা হয় না।’ এ বিষয়ে মোহাইমিন বলেন, ‘আমি আমার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু সারোয়ারের ছোট ভাইয়ের হয়ে প্রক্সি পরীক্ষা দেয়ার জন্য আরেক বন্ধু কামরুজ্জামান রাজ্জাকের সাথে তিন লাখ টাকার চুক্তি করি। বাকি সব কথাবার্তা তাদের মধ্যে হয়েছে আমি কিছু জানিনা।’
এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, ‘প্রক্সি দেয়ার অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়। রাতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দু’জনকে একমাসের বিনাশ্রমে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। আর বাকি একজনকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।’