ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,৩১ জুলাই : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ সোমবার সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংলাপে সূধী সমাজের আমন্ত্রিত প্রতিনিধিদের মধ্যে কয়েকজন অনুপস্থিত থাকছেন। এঁদের কেউ কেউ বর্তমানে বিদেশে এবং কয়েকজন অসুস্থ থাকার কারণে সংলাপে অংশ নিতে পারছেন না।
আজ সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিষ্ঠানটির ঘোষিত সাত কর্মপরিকল্পনাসহ প্রাসঙ্গিক বিষয়ে মতামত তুলে ধরবেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। তবে এই সংলাপে গনমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকতে পারবেন না। তবে সংলাপ শুরুর আগে ছবিগ্রহণের জন্য ক্যামেরাম্যানদের জন্য ৬ মিনিট বরাদ্দ করেছে ইসি।
সংলাপের বিষয়ে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে। সেই আলোকে দেশবরেণ্য যারা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি আছেন তাদের সাথে মতবিনিময় করা হবে। তবে আমন্ত্রিত অতিথিরা যে যতক্ষণ বক্তব্য রাখবেন সেগুলো শোনা হবে।
ইসি কার্যপত্রে দেখা যায়, মতবিনিময় সভার সূচি-৩১ জুলাই সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে আমন্ত্রিত সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও নির্বাচন কমিশনারের আসন গ্রহণ। সকাল ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে মতবিনিময়সভা শুরু। ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত সিইসির স্বাগত ভাষণ।
বেলা সোয়া ১১টা থেকে দুপুর ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দুই ঘণ্টা সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইসির মতবিনিময়। ১টা ১৫ মিনিট থেকে ১টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত মতবিনিময় শেষে সারসংক্ষেপ সচিব উপস্থাপন করবেন। এর পর ৫ মিনিট নির্বাচন কমিশনারদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন শেষে দেড়টায় আলোচনার সমাপ্তি এবং মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৪টায় গণমাধ্যমের সংলাপ নিয়ে ব্রিফিং করবে কমিশন।
সংলাপের প্রথম ধাপে যারা ইসির আমন্ত্রণ পাচ্ছেন তারা হলেন- সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন, অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, আকবর আলী খান, রাশেদা কে চৌধুরী , রোকেয়া এ রহমান, আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, হোসেন জিল্লুর রহমান, ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, এম. হাফিজ উদ্দিন খান, মির্জা আজিজুল ইসলাম, সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ব্যারিষ্টার রফিক-উল হক, আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, বিচারপতি গোলাম রাব্বানী, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, অধ্যাপক আবুল বারাকাত, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, কলামনিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন্সের নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বিএলআইএ পরিচালক ওয়ালিউর রহমান, এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির ভিসি ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক অজয় রায়, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমান, অধ্যাপক তাসনিম আরিফা সিদ্দিকী, নিজেরা করি’র নির্বাহী পরিচালক খুশি কবির, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আলী ইমাম মজুমদার, সঞ্জীব দ্রং, অধ্যাপক মাহবুবা নাসরীন, সাবেক রাষ্ট্রদূত এএফএম গোলাম হোসেন, আবুল কাশেম, ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, সাবেক সচিব আব্দুল লতিফ মন্ডল, মো. হুমায়ুন কবির, ড. সা’দত হোসেন, দৈনিক ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, ড. জহুরুল আলম, মুভ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাইফুল হক, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল হাফিজ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দীন আহমদ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, সেড’র নির্বাহী পরিচালক ফিলিপ গায়েন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর এসএম শামসুল আরেফিন, ব্রতি’র সিইও শারমিন মুরশীদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, আবুল হাসান চৌধুরী, প্রথম আলোর মিজানুর রহমান খান, চ্যানেল আই’র শাইখ সিরাজ, বিএসএস’ চেয়ারম্যান রাহাত খান, দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার তোয়াব খান।