ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,২৫ জুলাই : এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সালমন। পুরো নাম গাজী তারিক সালমন (অয়ন)। গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামে। বর্তমানে তার পিতা-মাতা সাতক্ষীরা শহরের মুন্সীপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা।
অয়নের পিতা মো: আব্দুর রহমান, মাতা: নাসিম বানু। আব্দুর রহমান একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা। তিনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পায়ে গুরুতর আঘাত পান।
অয়নের মাতা ডা. মুজিবর রহমান, সাতক্ষীরা শহরের প্রথম দিকের একজন এমবিবিএস চিকিৎসক। যখন সামান্য কয়েকজন লোক আ ‘লীগ করতো তখন তিনি ছিলেন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি।
তারিক সালমন ১৯৯৯ সালে এসএসসি এবং ২০০১ সালে এইচএসচি পাশ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যের ৩১তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে একাধিকবার প্রথম, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা রচনা প্রতিযোগিতায় দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন ছাত্র জীবনেই। ২৮তম বিসিএস এর মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে যোগদান করে বর্তমানে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
সালমন কবিতা লেখেন। ২০১৬ সালে একুশের বইমেলায় ‘সহজ প্রেমের কবিতা’ নামে তাঁর একটি কাব্যগ্রন্থও প্রকাশিত হয়। পড়াশুনাও করেন প্রচুর। সাহিত্যে এবং দেশের প্রতি তার আকর্ষণ বোঝা যায় ফেসবুকে দেয়া স্টাটাসগুলো দেখলেই।
সর্বশেষ ফেসবুক স্টাটাসে সালমন জীবনান্দ থেকে নিয়ে লিখেছেন- “তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও/ আমি এই বাংলার পারে র’য়ে যাব”।
‘শিশুর মনে বঙ্গবন্ধু’ উপলব্ধি করেছিলেন বরগুনার একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তারিক সালমন। তাই তিনি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার প্রথম হওয়া ছবিগুলো আমন্ত্রণপত্রে স্থান দিয়ে যেটা বুঝিয়েছেন, সেটা বুঝতে চেতনা লাগবে।
কিন্তু বাদ সাধলেন আওয়ামী লীগ নেতা। স্বার্থের দ্বন্দ্বে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তিনি মামলা ঠুকে দিলেন সেই ইউএনওর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করা হয়েছে। ঘটনা যে ব্যক্তিকেন্দ্রিক, তা বোঝা যায় শিশুটির বিরুদ্ধে মামলা হয়নি দেখে। হায় মানসিকতা! আশ্চর্য একটি ব্যাপার, যে দেশে ছিঁচকে চোরেরা গ্রেপ্তার হয় না সহজে, সে দেশে একজন ইউএনও কে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা হওয়ার পরও আটকে দেয়া হল। পুলিশও সহজে পেয়ে গেল তাঁকে, হাতকড়া পরাতেও কার্পণ্য করেনি ।