কুমিল্লা তিতাস উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তার বেহাল দশা

SHARE

01ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,২৫ জুলাই : কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রধান রাস্তাগুলোর বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। দীর্ঘদিনেও রাস্তাগুলোর সংস্কার না হওয়ায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরী হয়ে মিনি পুকুরে পরিনত হয়েছে। সংশ্লীষ্টদের সঠিক তদারকির অভাবে এসব রাস্তায় প্রতিদিন জনদুর্ভোগসহ ঘটছে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা। এসব বিষয়ে প্রতিকার চাইলেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ দৃশ্যমান নয় বলে অভিযোগ ভূক্তভোগিদের। তাই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনায়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে এসব জনদুর্ভোগের শিকার স্থানীয় জনগণ।
বিভিন্ন এলাকা সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বন্দরামপুর ষ্ট্যাশন থেকে সাবেক মেম্বার নজরুল ইসলামের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কি.মি. রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন পার্শ্ববর্তী জিয়ারকান্দি, নারান্দিয়া, ভিটিকান্দি ও মাছিমপুর ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশাতাধিক গ্রামের হাজার হাজার জনগণ সিএনজি ও অটোরিক্সাযোগে চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও মেরামত না হওয়ায় ইট সুরকি ও কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দে ভরে গেছে। বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সিএনজি ও অটোরিক্সা। এছাড়াও উপজেলার কেশবপুর হুমায়ন রোড থেকে জগৎপুর বাজার পর্যন্ত, বাতাকান্দি থেকে সাতানি কালাইকান্দি মোহনপুর পর্যন্ত, বলরামপুর উত্তর পাড়া থেকে দক্ষিনপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত, জগৎপুর বাজার থেকে ভূইয়ার বাজার পর্যন্ত রাস্তা গুলোর একই চিত্র। প্রতিটি রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে ইট সুরকি সরে গেছে। বিভিন্ন স্থানে মিনি পুকুরেও পরিনত হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই এসব মিনি পুকুরে স্থানীয় যুবকেরা মজা করে ধানের চারা লাগানো ও মাছ শিকারের দৃশ্য চোখে পরে।
কুমিল্লা উত্তর জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি মো. রাজা মিয়া সওদাগর বলেন, তিতাসের মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত আমরা। উপজেলার কতিপয় কর্মকর্তারা তাদের মনগড়াভাবে কাজ কর্ম করায় এ অবস্থা। আমরা বিষয়টি দেখার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
তবে কড়িকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোহসিন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, আমার ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তাঘাটের ব্যপক উন্নয়নসহ প্রয়োজনীয় স্থানে ব্রিজ-কালভার্ট নিমর্িান করা হয়েছে। আমি উপজেলা আ’লীগের সেক্রেটারী ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হিসেবে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়সহ দলে হাই কমান্ডের নিকট আমার তদবীর আছে। তবে প্রশাসনের কোন গাফলতি থাকলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,তদারিক নেই কথাটি ঠিক নয়; রাস্তাগুলো আমরা দেখেছি। তবে চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় রাস্তার মেরামত কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা বরাদ্দ চেয়ে প্রকল্প দিয়েছি। ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে কর্তৃপক্ষদল পরির্দশনও করে গেছেন। আশা করি কয়েক মাসের মধ্যে বরাদ্দ আসবে।
রাস্তাঘাটের মেরামতের বিষয়ে জানতে চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মকিমা বেগমেকে ফোন করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করে কেটে দেয়ায় এবং পরবর্তীতে ফোন দিলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।