ফরহাদ মজহারকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ

SHARE
mozhar_88840ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,১৮ জুলাই :  কবি, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফরহাদ মজহারের দেয়া জবানবন্দির সঙ্গে তদন্তে পাওয়া তথ্যের গরমিল ও বৈসাদৃশ্য রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে ফরহাদ মজহারের বিরুদ্ধে কীভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়, সেটি ভেবে দেখা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়ার প্রায় আড়াই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোয়া ১টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে ডিএমপির উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মাসুদুর রহমান জানান।
মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে ফরহাদ মজহারকে একটি প্রাইভেট কারে উঠে চলে যেতে দেখা যায়।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কবি ও লেখক ফরহাদকে রাজধানীর শ্যামলীর হক গার্ডেনের বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘তিনি (ফরহাদ) আদালতে যে জবানবন্দি দিয়েছেন তার সঙ্গে আমাদের তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের মিল না থাকায় তাকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি যদি সত্যিকার অর্থে অপহৃত হয়ে থাকেন, তাহলে একমাত্র সাক্ষী তিনি নিজেই এবং যারা অপহরণ করেছে তারা। এই পর্যন্ত তদন্তে আমাদের মনে হয়েছে তিনি অপহৃত হননি।’
এ অবস্থায় পুলিশের করণীয় প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, কেউ মিথ্যা তথ্য দিলে আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ৩ জুলাই সকালে নিখোঁজ হওয়ার ১৮ ঘণ্টা পর নাটকীয়ভাবে যশোরে বাস থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করে র‌্যাব-পুলিশ।  পরদিন সকালে ডিবি কার্যালয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঢাকার আদালতে নেওয়া হয়।
সেখানে জবানবন্দিতে তিনি বলেন, তাকে অপহরণ করে খুলনায় নেওয়া হয়েছিল। অপহরণকারীরা তার কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল।
এই অন্তর্ধান নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সব মহলে আলোচনার মধ্যে ‘তদন্তের সূত্র ধরে’ গত ১০ জুলাই ঢাকার আদালতে অর্চনা রানি নামে এক নারীকে নিয়ে আসে পুলিশ।
নিজেকে ফরহাদ মজহারের শিষ্য দাবি করে এই নারী জবানবন্দিতে বলেন, সেদিন ফরহাদ মজহার তার জন্য অর্থ জোগাড় করতেই বেরিয়েছিলেন এবং তার জন্য ১৫ হাজার টাকাও পাঠিয়েছিলেন।
গত ১৩ জুলাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ফরহাদ মজহার এবং তার স্ত্রী ফরিদা আখতারের টেলি কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ আসে, যাতে তাকে অপহরণের কথা বলতে মানা করতে শোনা গেছে বলে দাবি করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক শহীদুল হক।
তিনি দাবি করেন, ফরহাদ মজহারকে কেউ অপহরণ করেননি, তিন স্বেচ্ছায় খুলনায় গিয়েছিলেন।
বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর কয়েকদিন কবি ও লেখক ফরহাদকে বাসায় নেয়া হয়।