চলতি বছরটি ছিলো ঢাকাই ছবির জন্য অনেক পরিবর্তনের বছর। ব্যবসার বাজারে তেমন সাফল্য না এলেও কমেনি ছবি নির্মাণ। তার ভিড়েই মুক্তি পেয়েছে বেশ কিছু ব্যবসা সফল ও আলোচিত চলচ্চিত্র। সেই তালিকায় আরো একটি নাম যোগ করতে বছরের শেষ ছবি হিসেবে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘লাল চর’।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার পরিবেশনায় আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশজুড়ে মুক্তি পাচ্ছে সরকারি অনুদানের এই চলচ্চিত্রটি। ইমদাদুল হক মিলনের ‘নদী উপাখ্যান’ উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি পরিচালনা করেছেন নাট্যাভিনেতা ও নির্মাতা নাদের চৌধুরী। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছেন সুপরিচিত এই অভিনেতা।
প্রথম চলচ্চিত্রকে নিজের জন্য বড় ধরনের একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে মন্তব্য করে নাদের চৌধুরী বলেন, ‘লাল চর’ চলচ্চিত্রটিই আমাকে চ্যালেঞ্জ করার দৃঢ় প্রত্যয় আর আত্মবিশ্বাস জাগিয়েছে। শুধুমাত্র দর্শকের পূর্ণমাত্রার তৃপ্তি দিতেই ‘লাল চর’ বানিয়েছি। কারণ আমি মনে করি, দর্শকই চলচ্চিত্রের মূল উৎস। যে চলচ্চিত্র দর্শকই দেখলো না, সেই চলচ্চিত্র অস্কার পেলে কী আর ঘরভর্তি পুরস্কার পেলেই কী! আমার প্রবল আত্মবিশ্বাস, ‘লাল চর’ সব ধরনের দর্শক দেখবেন, হাসবেন, ভালবাসবেন এবং কাঁদবেনও।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই ছবির গল্প, চিত্রনাট্য এবং লাল চরের পুরো টিমের হৃদয় উজাড় ভালোবাসা অনুপ্রেরণাই আমাকে চ্যালেঞ্জ করার শক্তি ও সাহস জুগিয়েছে। আর শিল্পী নির্বাচনও করা হয়েছে অনেক হিসাব-নিকাশ করে। যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে থিয়েটারের শিল্পীদের অগ্রাধিকার দিয়েছি। বেছে বেছে সবচেয়ে মেধাবী, পেশাদার অভিনয়শিল্পীদের খুঁজে বের করেছি। সবমিলিয়ে ‘লাল চর’কে চ্যালেঞ্জিং একটি চলচ্চিত্র বলে মনে হচ্ছে আমার কাছে।’
চলচ্চিত্রটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনিসুর রহমান মিলন ও সেরা নাচিয়ে প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন মোহনা মোস্তফা মোহনা মীম। এ ছাড়া আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাসুম আজিজ, ঝুনা চৌধুরী, সাবিহা আজিজ, শহীদুজ্জামান সেলিম, রফিকুল্লাহ সেলিম, কাজী শিলা নাদের চৌধুরীসহ মঞ্চের কয়েকজন তরুণশিল্পী। চলচ্চিত্রটির সংগীত পরিচালনা করেছেন ফরিদ আহমেদ।
উল্লেখ্য, এ বছরের ২৮ জানুয়ারি এফডিসির ভিআইপি ল্যাবে লালচরের মহরত অনুষ্ঠিত হয়। ১ ফেব্রুয়ারিতে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে পদ্মার চর এলাকায় শুরু হয় চলচ্চিত্রটির শুটিং। গত ১৮ নভেম্বর বিনাকর্তনে সেন্সর ছাড়পত্র পায় ‘লাল চর’।