ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,১৩ জুলাই : কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে তাঁকে অন্যত্র বদলী করায় উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তোপের মুখে পড়েন। এরূপ আকর্ষ্মিক বদলী ঠেকাতে মেঘনা উপজেলার ৮টা ইউনিয়নের সকল চেয়ারম্যান ও ২ জন ভাইস চেয়ারম্যান একযোগে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেন। ১২৮ জন শিক্ষক স্বাক্ষর করে এই বদলীকে স্থগিত করবার জন্য সচিব ও মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করে জোর তদবির চালাতে থাকেন। বিষয়টি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় পর্যন্ত গড়ালে মন্ত্রনালয় থেকে বদলীর আদেশ স্থগিত করা হয়। গতকাল ১২/০৭/১৭ তারিখে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক (সংগ্রহ) অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করতে আসেন। অভিযোগের বিপক্ষে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য শিক্ষা অফিসে সাধারন শিক্ষদের ভীড় জমে। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানরাও শিক্ষকদের সাথে যোগ দেয়। সাধারন শিক্ষক ও চেয়ারম্যানদের তোপের মুখে উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ সালাম নিজের নিরাপত্তা সুসংহত করতে পুলিশ ঢাকেন বলে একটি সূত্র জানায়। তিনি পুলিশ ও দলীয় লোকদের দিয়ে শিক্ষকদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিদ্যালয়ে চলে যেতে বলেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে দেখা করেন। উপস্থিতভাবে ৪৭ জন প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষরিত একখানা বক্তব্য তাঁরা তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট জমা দেন। ভাইস চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজ, ইউপি চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ, ইউপি চেয়ারম্যান আঃ লতিফ প্রমুখ উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তাঁরা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী নিয়োগে বানিজ্য করতে না পারায় তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বদলী করবার নীল নকশা করেছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান তোপের মুখে কিছুক্ষণ নিজের কক্ষে অবরুদ্ধ থাকেন। তারপর পুলিশ প্রহরায় স্থান ত্যাগ করেন সূত্রটি জানায়।