ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,০২ জুলাই : সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে তাদের দুর্নীতি বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলন কক্ষে সচিবদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
এ সময় বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। সচিবদের কাজের বিষয়ে নির্দেশনা দিতে ও পর্যালোচনা করতে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
সচিবদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন কর্মসূচি এমনভাবে গ্রহণ করতে হবে যেন সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ উপকৃত হয়। গ্রাম উন্নয়নের ওপর জোর দিতে হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। যাতে গ্রামের মানুষ কাজের খোঁজে শহরে না আসে। শহরের ওপর জনসংখ্যার চাপ যাতে না বাড়ে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে সরকারের দৃঢ় অবস্থান সুস্পষ্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরো শক্তিশালী ও কার্যকর করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন আইন সংশোধন করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ১২৩ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। কর্মজীবী নারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৯ করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬০ করা হয়েছে। এই সুযোগ-সুবিধার পর কর্মচারীদের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে প্রকল্পের পেপার ওয়ার্ক সম্পন্ন করুন। আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের প্রয়োজন হলে তা দ্রুত করে ফেলুন। পাশাপাশি কাজের গুণগতমানের সঙ্গে কোনো আপস করা যাবে না। ফাস্ট ট্রাকভুক্ত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য আরও আন্তরিক হোন।’
সচিবদের সরকারের অন্যতম চালিকাশক্তি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি রাজনৈতিক সরকার একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্ষমতায় আসে। কিন্তু সচিবদের আরও অনেক দীর্ঘ সময় ধরে সেবা দেওয়ার সুযোগ থাকে। কাজেই এটা সচিবদের ওপরই নির্ভর করে দেশ কীভাবে চলবে।’ শেখ হাসিনা সচিবদের কাজে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, তার দলের রাজনৈতিক দর্শন এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি একটি ভালো দলের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছেন।
অপেক্ষাকৃত তরুণ কর্মকর্তা, যাদের আরও দীর্ঘদিন চাকরি করার সুযোগ রয়েছে, প্রশিক্ষণে তাদের অগ্রাধিকার প্রদানের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অপেক্ষাকৃত তরুণ কর্মকর্তা যারা দীর্ঘদিন চাকরি করবেন, প্রশিক্ষণে তাদের অগ্রাধিকার দিন।’ একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আন্তক্যাডার বৈষম্য দূর করে সবার ন্যায়সংগত পদোন্নতি এবং পদায়ন নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান।