নতুন চুক্তিতে শ্রমিকরা কি সংগঠনের অধিকার পাবে?

SHARE

women-worker_85622ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,৩০ জুন :  বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে নিরাপত্তা এবং শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউরোপের নামকরা ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো এক নতুন চুক্তিতে সই করেছে।

”অ্যাকর্ড অন বিল্ডিং অ্যান্ড ফায়ার সেফটি ইন বাংলাদেশ” এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশে রানা প্লাজা ধসে প্রায় এগারোশো শ্রমিকের মৃত্যুর পর এর আগে ২০১৩ সালে যে চুক্তি হয়েছিল, নতুন চুক্তিতে তার বাইরে আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোর কাজের পরিবেশ নিয়ে ২০১৩ সালে একটি চুক্তি করেছিল ইউরোপের ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো।

আজ বৃহস্পতিবার প্যারিসে অ্যাকর্ডের পক্ষ থেকে যে নতুন চুক্তির ঘোষণা দেয়া হয়েছে, সেটি কার্যকর হবে সামনের বছর থেকে, পুরনো চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর।

বাংলাদেশের পোশাক কারখানার নিরাপত্তা এবং কাজের পরিবেশ নিয়ে এরকম চুক্তিকে অভূতপূর্ব বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। কারণ যেসব ফ্যাশন ব্র্যান্ড এই চুক্তিতে সই করবে, তারা এটি আইনত মেনে চলতে বাধ্য।

আগের চুক্তির মতো নতুন চুক্তিতেও বাংলাদেশের কারখানাগুলোতে ভবন, অগ্নি এবং বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা আছে।

কিন্তু সেই সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে আরও অনেক বিষয়। যার মধ্যে আছে শ্রমিকদের সংগঠন করার অধিকার থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণের মতো বিষয়। বিবিসি বাংলার মোয়াজেম হোসেনকে এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন অ্যাকর্ড অন বিল্ডিং এন্ড ফায়ার সেফটির ওরিস ওলডেনযিয়েল।

”এই চুক্তিতে শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়ার অধিকারের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে যাতে তারা সত্যিকারের মজুরি পান এবং তাদের নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। এসব অধিকার যেন মালিকরা মেনে চলে সেটা নিশ্চিত করার জন্য অ্যাকর্ড প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং কারখানা পরিদর্শনেরও ব্যবস্থা রাখবে,” বলেন ওরিস ওলডেনযিয়েল ।

তিনি বলেন আরেকটি বড় পরিবর্তন হচ্ছে, অ্যাকর্ড এখন তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আরও সম্প্রসারণ করবে, এবং সবগুলো কারখানাতেই তা বিস্তৃত করা হবে।

বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকারের পুরো স্বীকৃতি অনেক জায়গাতেই নেই।

নতুন চুক্তিতে যে সংগঠিত হওয়ার অধিকারের কথা বলা হচ্ছে, তার মানে কি ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারের পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি?

মিঃ ওলডেনযিয়েল বলছেন এর মানে হচ্ছে শ্রমিকদের সংগঠিত হবার অধিকারের যে গুরুত্ব তার স্বীকৃতি। বিশেষ করে শ্রমিকরা যেন তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে তাদের কথা তুলে ধরতে পারেন।

তিনি আরও বলছেন, অ্যাকর্ড চুক্তির অধীনে শ্রমিকরা এখন তাদের সংগঠনের অধিকারের বিষয়েও অভিযোগ তুলতে পারবেন।

অ্যাকর্ড বলছে, এ পর্যন্ত অন্তত পনেরটি নামকরা ফ্যাশন ব্র্যান্ড এই চুক্তিতে সই করেছে, যাদের মধ্যে রয়েছে যারা, অলডি, প্রাইমার্কের মতো ব্রান্ড। আরও অনেকে এতে সই করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

নতুন এই চুক্তি কারখানা মালিকরা মেনে চলছে কীনা সেজন্যে পরিদর্শন এবং তদারকিরও ব্যবস্থা থাকবে।

অ্যাকর্ড আরও জানিয়েছে, প্রায় এক হাজার কারখানা এই চুক্তির আওতায় আসবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা