ঈদে রাজধানীতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা

SHARE

dewqওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,২৫ জুন :  ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়ে রক্তাক্ত হয়েছিল রাজধানীর সবচেয়ে সুরক্ষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত গুলশান। সেখানকার হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় বর্বরোচিত জঙ্গি হামলা চালায় নব্য জেএমবি। ওই শোক কাটিয়ে না উঠতেই ৬ দিনের মাথায় ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতে আবারও জঙ্গি হামলা চালানোর চেষ্টা করে উগ্রপন্থিরা। গত বছরের দুই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ও বৈশ্বিক বাস্তবতা মাথায় রেখে এবার ঈদ জামাত ও সরকারি ছুটিতে দেশজুড়ে বাড়তি সতর্কাবস্থায় রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ঈদের পর থেকে ৭ দিন রাজধানীতে থাকবে সর্বোচ্চ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কূটনৈতিক এলাকা হিসেবে পরিচিত গুলশান, বারিধারা ও বনানীতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন থাকবে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সহকারী পুলিশ পরিদর্শক থেকে তার ওপরের সব পুলিশ কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ঈদের ছুটিতে ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন নিয়ে গতকাল শনিবার সর্বশেষ ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। দেশজুড়ে নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করার বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, যে কোনো উৎসবে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব পুলিশের। রোজার শুরু থেকে ৫ ধাপে রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়। রোজার মাসকে তিন ধাপে ভাগ করে তিন ধরনের নিরাপত্তা ছক তৈরি করা হয়। এ ছাড়া ঈদের দিনের জন্য থাকছে আলাদা আয়োজন। আর ঈদ-পরবর্তী ৭ দিনের জন্য থাকবে পৃথক নিরাপত্তা ছক। হলি আর্টিসানের অভিজ্ঞতার বিষয়টি মাথা রেখে শেষ ধাপের নিরাপত্তা আয়োজন করা হয়েছে। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, এরই মধ্যে প্রথম তিন ধাপে নিরাপত্তা আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শেষ দুই ধাপও একইভাবে নির্বিঘ্নে শেষ হবে বলে আশা করি। গতকালও বৈঠক করে নিরাপত্তার সার্বিক ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (সংস্থাপন) হাবিবুর রহমান বলেন, জঙ্গি হুমকি মাথায় রেখেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেশব্যাপী পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যে কোনো ধরনের অপরাধ ঠেকাতে আগাম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ঈদের ছুটিতে সারাদেশে র‌্যাবের সব ব্যাটালিয়ন বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বড় বড় ঈদ জামাতে থাকবে অতিরিক্ত ফোর্স। এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য স্থাপনায় থাকবে বাড়তি নজরদারি। কাউন্টার টেররিজমের ডিসি মুহিবুল ইসলাম খান বলেন, যে কোনো সন্ত্রাসী ও জঙ্গি তৎপরতা মোকাবেলায় পুলিশ সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।