ওই ভ্যানের আঘাতেই বাংলাদেশি ব্যক্তির মৃত্যু: লন্ডন পুলিশ

SHARE

bangladeshi-dead-by-van-att_84973ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,২৪ জুন :  ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে পথচারী মুসল্লিদের ওপর ভ্যান উঠিয়ে দিয়ে হামলার ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার বাংলাদেশি নাগরিক ওই ভ্যানের আঘাতেই মারা গেছেন বলে জানিয়েছে লন্ডন পুলিশ।  দাতব্যকর্মী সুলতান আহমেদ ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছেন, আমার চাচা যখন মসজিদ ত্যাগ করেন তখনই মুসল্লিদের ওপর ভ্যানটি চালিয়ে দেয়া হয়। এ সময় বাংলাদেশি এক বয়স্ক প্রবাসী ভ্যানচাপায় মারা যান।

তিনি বলেন, মসজিদের একদল মুসল্লি তাকে (ভ্যানচাপায় আহত বাংলাদেশিকে) সহায়তা করতে এগিয়ে আসেন। এ সময় তাদের ওপরও ভ্যানটি চালিয়ে দেয়া হয়।  ভ্যানচাপায় অন্তত দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

মুসল্লিদের ওপর ভ্যান চালিয়ে দেয়ার সময় চালককে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, তিনি সব মুসলিমকে হত্যা করবেন।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৫১ বছর বয়সী মাকরাম আলী ঘটনার একটু আগেই সেখানে অসুস্থ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। গাড়ির আঘাতে না কি অন্য কোনো কারণে ওই ব্যক্তির তার মৃত্যু হয়েছে তা প্রাথমিকভাবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

তবে বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তির দেহে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

এক বিবৃতিতে মাকরামের পরিবার বলেছে, পায়ে জোর কম থাকায় হঠাৎ পড়ে যাওয়ার এই সমস্যায় বেশ কিছু দিন ধরে তিনি ভুগছিলেন। ওই হামলার ঘটনা যখন ঘটে তখন তিনি বিশ্রাম নিয়ে ঘরে ফিরে আসতে চাইছিলেন। মাকরামকে তার পরিবার ‘নীরব, ভদ্রলোক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে, যিনি কোনো শত্রুতায় জড়াননি। ছয় সন্তানের জনক এই ব্যক্তি ১০ বছর বয়সে বাংলাদেশ থেকে ব্রিটেনে আসেন। তিন নিয়মিত নামাজ পড়তেন ও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে খেলা করতেন বলেও বিবৃতিতে বলা হযেছে।

তার মৃত্যুর ঘটনায় কারো শাস্তি নয় শুধু মৃতের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন তারা।

উল্লেখ্য, গত সোমবার লন্ডনের স্থানীয় সময় রাত ১২টার দিকে লন্ডনের সেভেন সিস্টারস রোডের মুসলিম ওয়েলফেয়ার মসজিদের মুসল্লিদের ওপর ভ্যান হামলা চালানো হয়। তারাবি নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে হামলার শিকার হন মুসল্লিরা।

রয়টার্স বলছে, লন্ডনে ভ্যান হামলায় এক ব্যক্তি নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক চালককে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।