রমজানে রাজধানীর সর্বত্র যানজট মুক্ত রাখতে ট্রাফিক বিভাগের ব্যবস্থা গ্রহণ

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,২৫ মে : রমজানে রাজধানীর সর্বত্র যানজট মুক্ত রাখতে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বিভিন্ন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মফিজ উদ্দিন আহমেদ আজ ডিএমপি’র সদর দপ্তরে নিজ কার্যালয়ে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন,ঢাকা শহরের বিভিন্ন রাস্তা খননের জন্য রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সারাদিন অফিস করে ইফতারের আগে বাসায় ফেরার ব্যস্ততা আমাদের সবারই থাকে। এ জন্য রাস্তায় গাড়ির চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হবে চিন্তা করেই ট্রাফিক ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার সর্বোচ্চ প্রয়াস নেয়া হবে। ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ অসহনীয় যানজটকে সহনীয় পর্যায়ে রেখে ইফতারের আগে নগরবাসীকে বাড়ি ফেরানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যানজট যাতে ভোগান্তির পর্যায়ে না যায় সেজন্য ট্রাফিকের মাঠ পর্যায়ের পুলিশ অফিসারদের ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন,রাস্তার ইন্টারসেকশন ম্যানেজমেন্ট সঠিক ও কার্যকরী করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের প্রবেশ ও বাহির পথ যানজট মুক্ত রাখতে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে কোন যাত্রী উঠানামা না করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট ও রেল স্টেশনে নেয়া হবে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ফিটনেস বিহীন, লক্কর-ঝক্কর ও মেয়াদ উত্তীর্ণ গাড়ি রাস্তায় নামতে দেয়া হবে না বলে তিনি জানান। যুগ্ম কমিশনার বলেন, ফুটপাতে কোন দোকানপাট বসিয়ে চলাচল বিঘিœত করতে দেয়া হবে না। বাহিরের জেলা হতে আগত গাড়ি ঢাকা শহরে এসে যাতে করে যানজট সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য রাস্তার পাশে অননুমোদিত দোকানপাট উচ্ছেদ করা হবে।

তিনি জানান,ট্রাফিক কর্মকর্তাদের ছুটি কমিয়ে সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে ডিএমপি মনে করছে, শুধু পুলিশ নয় সবার সহযোগিতা পেলে যানজট নিরসন সম্ভব হবে। এ জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। যুগ্ম কমিশনার বলেন,ইতোমধ্যে যানজট নিরসনে ডিএমপির ৪টি ট্রাফিক বিভাগ সংশ্লিষ্ট এলাকায় সভা-সমাবেশ শুরু করেছে। ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো: রিফাত রহমান বাসসকে জানান, পুরো রমজানে পুরনো ঢাকার বাবু বাজার ব্রিজ ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল কেন্দ্রীক সুষ্ঠু যানবাহন ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ব্যবসায়ী, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধির সমন্বয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন,রমজানে প্রত্যেকের প্রত্যাশা থাকে নিরাপদে ঘরে ফিরে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ইফতার করা। সে লক্ষ্যে পুলিশ, পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ফুটপাতে ইফতারের দোকান বসতে না দেয়া, ফুটপাত হতে হকার উচ্ছেদ, অবৈধ পার্কিং রোধ, যত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামা, মলম পার্টির উপদ্রব রোধে এবার কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি বলেন, ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় ব্যস্ততম সড়কগুলোতে ট্রফিক পুলিশের সহায়তায় থাকবে কমিউনিটি পুলিশ। ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার প্রবীর কুমার রায় বলেন, মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতর সামনে রেখে মার্কেট ও বাস টার্মিনাল কেন্দ্রীক যানজট সহনীয় পর্যায় রাখতে ট্রাফিকের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হবে। এছাড়া মহাখালী বাস টার্মিনাল ও আব্দুল্লাহপুর এলাকায় যানজট নিরসনে ঈদের আগে ও ঈদ পরবর্তী আরো এক সপ্তাহ ধরে প্রায় ২৪ ঘন্টাব্যাপী দায়িত পালন করবে ট্রাফিক পুলিশ।