জাতীয় ঐক্য জোটের নেতৃত্বে থাকছেন এরশাদ

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,০২ মে ২০১৭ : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের চেষ্টা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অংশীদার জাতীয় পার্টি (জাপা)। ইসলামী ঐক্য জোট, খেলাফত মজলিস (বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট শরিক), ন্যাশনাল কংগ্রেস, যুক্তফ্রন্ট, আমজনতা পার্টি, হিন্দু লীগসহ ৫২ থেকে ৫৫ টি দল নিয়ে তিনটি জোট গঠন করা হবে। এ জন্য জাপার শীর্ষ নেতার কেউ কেউ দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন বলে জানা গেছে।

জাতীয় ঐক্য জোট নামে এই প্লাটফর্মের নেতৃত্বে থাকবেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এরইমধ্যে অনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য সম্ভাব্য দিনক্ষণও ঠিক করা হয়েছে।

জাপার দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, আগামী সপ্তাহে জাতীয় প্রেস ক্লাবে নতুন এ জোটের ঘোষণা দেবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ইসলামী দলগুলোর ৩৫টি দল নিয়ে একটি জোট গঠন করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় জোট-বিএনএ এর নেতৃত্বে হবে একটি জোট। পাশাপাশি শেখ শওকত হোসেন নিলুসহ আরও কয়েকটি সমমনা দল নিয়ে আরেকটি জোট করা প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া শেষ হলেই আসবে জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। ‘জাতীয় ঐক্য জোট’ গঠনের প্রক্রিয়া এরশাদ নিজেই তদারকি করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ‘জাতীয় ঐক্য জোট’ এর সমন্বয়কারী এস এম মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘জোট গঠনের কাজ চলছে। এ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।’

কবে নাগাদ ঘোষণা আসতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগামী ৬ মে জাতীয় প্রেস ক্লাবে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাতীয় ঐক্য জোটের ঘোষণা দেবেন।’

সম্প্রতি জাপার চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেন, ‘বিএনপির জোটে ২০ দল আছে। আওয়ামী লীগের আছে ১৪ দল। আমরাও একটি জোট করব। তাদের সঙ্গে আমার বৈঠকও হয়েছে।’ তবে কোন কোন দলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে, তা এরশাদ প্রকাশ করেননি।

জাপার এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিএনপির আগামী নির্বাচনে আসলে এক ধরনের পদক্ষেপ হবে, না আসলে আরেক ধরনের হবে। আমাদের জোটের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের কোয়ালিশন হতে পারে। অথবা এককভাবে নির্বাচনের একটা পলিসি আছে। জোট গঠনের প্রক্রিয়া এগিয়ে যাচ্ছে। এখনই সব কিছু বলা যাবে না।’

জানা গেছে, আপাতত লক্ষ্য হচ্ছে জোট গঠন করা। তারপর অবস্থার বিবেচনায় সীদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে কী নেবে না। তাছাড়া আগামী নির্বাচনের বিএনপির অংশ নেওয়া না নেওয়ার বিষয়টিও দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আগামী নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের ৩০টি আসনে সুযোগ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে নতুন এ জোটের।