ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,৩০ এপ্রিল : হাওর এলাকায় বাঁধ নির্মাণে কারও গাফিলতি পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বন্যায় ফসলহানীর সুযোগ নিয়ে কেউ যদি দেশের বাজারে খাদ্যশষ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। অকাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে রোববার সুনামগঞ্জের শাল্লায় এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নগদ সহায়তার পাশাপাশি আগামী মওসুমের জন্য বিনামূল্যে বীজ আর সার দেওয়া হবে। মৎস্যজীবী ও কৃষকদের ঋণের সুদের হার অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে। গোখাদ্যের যেন অভাব যেন না হয়, সে ব্যবস্থাও সরকার নেবে। “একটা লোককে না খেয়ে মরতে দেব না। যা করার করব,” বলেন শেখ হাসিনা।
হাওরের পরিস্থিতি দেখতে প্রধানমন্ত্রী সকালে শাল্লা উপজেলা সদরে পৌঁছানোর পর স্থানীয় শাহেদ আলী বিদ্যালয়ের মাঠে সমাবেশে বক্তব্য দেন। দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রীও বিতরণ করেন তিনি। হাওরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের নাব্যতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, খালগুলো যেন বেশি পানি নিষ্কাশন করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। হাওরকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা জানান, হাওরের বন্যাকবলিত এলাকায় বিতরণের জন্য তিন হাজার ৫২৪ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় প্রতি পরিবারকে মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। যেসব বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হাওর অঞ্চলে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে, তাদের আপাতত কিস্তি আদায় স্থগিত করে সুদ মওকুফের আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী হাওর এলাকার মানুষকে শুধু ফসলের ওপর নির্ভরশীল না থেকে মাছ, গবাদীপশু ও হাঁস-মুরগি পালন বাড়ানোরও পরামর্শ দেন।