‘প্রশ্নপত্র আনা-নেয়ায় আরো সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে’

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,০৬ এপ্রিল : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, প্রশ্নপত্র আনা-নেয়ার সময় আরো সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র আনার সময় ব্যবহৃত গাড়ি যাতে কালো কাচের না হয়, সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বচ্ছ কাচের গাড়িতে প্রশ্নপত্র বহন করতে হবে, যাতে বাইরে থেকে দেখা যায়। তিনি আজ রাজধানীর বেইলি রোডে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন। সাংবাদিকদের মন্ত্রী আরো জানান, অল্প সময়ের মধ্যে তারা কিছু বিষয় স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। যেমন- এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর তারিখ তারা নির্দিষ্ট করে দিতে পেরেছেন। ৬০ দিনের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এ সময় অপেক্ষমান অভিভাবকদের সাথেও তিনি কথা বলেন এবং পরীক্ষা পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত জানতে চান। অভিভাবকগণ উৎসাহের সাথে তাদের অভিমত তুলে ধরেন। মন্ত্রী মনোযোগ সহকারে তাদের কথা শোনেন এবং বিভিন্ন বিষয়ের জবাব দেন। কেন্দ্র পরিদর্শনে শিক্ষামন্ত্রী পরীক্ষা হলের সামগ্রিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেন এবং পরীক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। পরীক্ষার্থীরা মন্ত্রীকে জানান, এবার প্রশ্নপত্র ভাল হয়েছে এবং তারা আনন্দের সাথে পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবং কেন্দ্রের পরিবেশেও তারা খুশি।

মন্ত্রী হল পরিদর্শনকালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার চেয়ারম্যান প্রফেসর মাহাবুবুর রহমান, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এস এ মাহমুদ এবং কলেজের অধ্যক্ষ কানিজ ফাতেমা আকতার উপস্থিত ছিলেন। পরে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ঢাকার মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে এনসিটিবি’র কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমান, এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী যথাসময়ে পাঠ্যপুস্তক ছাপা সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, সময়মত দরপত্র আহবান ও মূল্যায়ন কাজ শেষ করতে হবে। পাঠ্যপুস্তক ছাপার পূর্ণ প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে। পাঠ্যপুস্তকের কাগজ ও ছাপার মান যাতে ভাল হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। মন্ত্রী বলেন, পাঠ্যপুস্তকে বানান ও অন্যান্য ভুলত্রুটির ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের আরো সতর্কতার সাথে কাজ করার নির্দেশ দেন। সভায় কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বইয়ের পান্ডুলিপি প্রস্তুত ও অনুমোদন নেয়া হয়েছে। কাগজের টেন্ডার প্রক্রিয়াও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সময়মত বই ছাপার সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।