ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,১২ জানুয়ারি : দাউদকান্দির মালাখালায় কিশোরী বধু কি আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে? এই প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষেরও। উপজেলার মোহাম্মদপুর (প.) ইউনিয়নের মালাখালা গ্রামের মৃত মোঃ নজরুল মিয়ার প্রবাসী পুত্র মোঃ শিপন মিয়া (৩৮)-এর কিশোরীবধু রুমি আক্তার (১৫) ১১ জানুয়ারি বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটায় এক ধরনের কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করে বলে জানান শিপনের মা মনোয়ারা বেগম। কিন্তু রুমি দিনদুপুরে কি করে পরিবারের এত লোকজনের সামনে আত্মহত্যা করলো, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম হুগুলিয়া গ্রামের আশাদ মিয়ার স্কুলপড়–য়া কিশোরী মেয়ের বিয়ে হয় মালেয়শিয়া প্রবাসী মোঃ শিপন মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের পর ১ মাস ছুটি কাটিয়ে শিপন দেশের বাহিরে চলে গেলেও কয়েকদিন পরেই চলে আসেন দেশে। তারপর আবার কয়েক মাস অতিবাহিত করে মালেয়শিয়া চলে যান শিপন। এর মধ্যে শিপন রুমিকে বাচ্চা নেওয়ার জন্য চাপের উপর চাপ দিতে থাকেন। এবার ১ মাস আগে শিপন বাড়ি আসে এবং রুমির উপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালাতে থাকে। শুধু তাই নয় এলাকাবাসী জানায়, শিপনের পরিবারও রুমিকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মালাখালার সর্দার বাড়িতে কিশোরীবধু রুমির মৃত দেহ পড়ে আছে ঘরের মেঝেতে। চারদিকে মানুষের কান্নার রোল। আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠছে রুমির পরিবারসহ সাধারণ মানুষের কান্নায়। মানুষজন বলাবলি করছে, এটা আত্মাহত্যা নাকি হত্যা? এই নিষ্পাপ মেয়েটিকে কি করে এমন কাজ করতে পারলো এই পাষ-! দিনদুপুওে এভাবে একটি মেয়েকে কি কওে তারা চিরতওে পরপাওে পাঠিয়ে দিলো!
এব্যাপারে রুমির বড় ভাই বলেন, ‘আমার বোন রুমিকে শিপন হত্যা করেছে। বিয়ের পর থেকেই রুমিকে বাচ্চা নেওয়ার জন্য নির্যাতন করতো শিপন। আমরা এই হত্যার বিচার চাই’।
দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই (তদন্ত কর্মকর্তা) মোঃ জাহিদ বলেন,‘আমরা এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রুমি’র লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মর্গে পাঠিয়েছি। এব্যাপারে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে’। ময়নাতন্তের পরই এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন হবে বলে তিনি জানান।
মোহাম্মদপুর (প.) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান বলেন,‘ আমি আজ সকালে ঢাকায় চলে এসেিেছ। তবে এই ঘটনাটি আমি শুনেছি। তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যাবস্থা নেবেন পুলিশ প্রশাসন’।
এদিকে এ ঘটনা ঘটার পরপরই শিপন ও তার ছোট ভাই আল-আমিন পালিয়ে গেছে। শিপনের মুঠোফোন-০১৮২২ ৫৬২১৪০-এ বারবার কল করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।