ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,এমএ কাশেম ভূঁইয়া,হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি,০৫ জানুয়ারী : কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর হোমনা জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আক্তার হোসেন এর নেতৃত্বে যখন অত্র অঞ্চলে সরকারের ভিশন ২০২১ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ বিতরণের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তখন অফিসের কতিপয় দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তার সাথে আতাত করে ইলেক্ট্রিশিয়ান ও দালালরা গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। গ্রাহকরা অতিরিক্ত টাকা দিয়েও যথাসময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় টাকা ফেরত চেয়ে দালালদের হাতে নির্যাতনের স্বিকার পর্যন্ত হতে হচ্ছে। ফলে একদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বদনাম হচ্ছে অন্য দিকে নষ্ট হচ্ছে সরকারের ভাবমূর্তি।
এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে হোমনা জোনাল অফিস এর ডিজিএম বরাবরে ভূক্তভোগি গ্রাহকরা গণস্বাক্ষর দিয়ে লিখিত অভিযোগ করায় নির্যাতন প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড জয়পুরের বর্তমান মেম্বার মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাননীয় মন্ত্রীর পাইলট প্রকল্প, “প্রধান মন্ত্রীর উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” বিতরণ যখন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বদ্ধ পরিকর। তখন উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন স্থানীয় প্রায় ৩০-৩৫জন গ্রাহকের কাছ থেকে ৫ থেকে ৯হাজার টাকা করে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের নামে। কিন্তু মাসের পর মাস পেরিয়ে গেলেও এসব অসহায় গ্রাহকরা মিটার সংযোগ না পাওয়ায় গত ১৮ডিসেম্বর হোমনা জোনাল অফিসের ডিজিএমসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে গণস্বাক্ষর দিয়ে অভিযোগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে ডিজিএম মো. আক্তার হোসেনের নির্দেশে এজিএম কম. রাজন কুমার দাস এর নেতৃত্বে অফিসের পক্ষ থেকে ৩সদস্যের একটি তদন্ত টিম ঘটনাস্থল জয়পুর গ্রামে আজ ৫জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সরজমিনের পরিদর্শনে যায় এবং গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ উত্তোলনের বিষয়টি প্রমানিত হয়। পরে ওই অফিসার মেম্বারের নিকট থেকে টাকা ফেরৎ স্থানীয় গ্রাহক ফাতেমা আক্তার জানান, আমি জাহাঙ্গীর মেম্বারের নিকট আমার কাছ থেকে নেয়া টাকার রিসিট চাওয়ায় সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে এবং বিষয়ে কোন বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি দিয়েছে।
কুদ্দুস, আজিজুল, টিপুসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাহক সাংবাদিকের কাছে জানায়, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহফুজ মাষ্টারের নির্দেশে জাহাঙ্গীর মেম্বার আমাদের কাছ থেকে ৭-৯হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি টাকা নিয়েছে। কিন্তু এখনো আমাদের মিটার সংযোগ দিচ্ছে না।
তদন্ত টিমের প্রধান হোমনা জোনাল অফিসের এজিএম কম. রাজন কুমার দাস বলেন, আমাদেও কাছে গ্রাহকরা একটি অভিযোগ করেছিলো। আমরা সে বিষয়ে তদন্ত করার জন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি জাহাঙ্গীর মেম্বার ৩০-৩৫জন গ্রাহকের কাছ থেকে ৭-৮ হাজার টাকা করে নিয়েছে। কেনো নিয়েছে জানতে চাইলে সে জানায়, ‘খরচের জন্য নিয়েছে।’ কোন রশিদ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি অন্য একজনের নাম জানায়। যেহেতু বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারের সেক্ষেত্রে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছি।
এ বিষয়ে মেম্বার জাহাঙ্গীর হোসেনের মোবাইলে ফোনে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিককে বলে, আপনি দেখেছেন, নিজে এসে দেখে যান। এসময় তিনি সাংবাদিককে বাজে কথাও বলেন।
জয়পুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. তাইজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, সাংবাদিক সর্ম্পকে ভিন্নমত পোষন করা খুবই দুঃখজনক। আমি ও ডিজিএম সাহেব বিষয়টি জানি। সময়ের জন্য ব্যবস্থা নিতে পারছি না। তবে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।