ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,মেঘনা প্রতিনিধি,০৫ জানুয়ারি : কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার হরিপুর গ্রামের গৃহবধূ মুক্তা আক্তারকে নির্মমভাবে ধর্ষনশেষে গলায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ১ বছর পূর্বে উপজেলার হরিপুর গ্রামের মোছলেম মিয়ার মেয়ে মুক্তা আক্তারের সাথে চন্দনপুর ইউনিয়নের কাছারিকান্দি গ্রামের দুধ মিয়ার ছেলে প্রবাসী মোঃ মহসিনের সাথে বিবাহ হয়। বিয়ের চারমাস পর ওয়াসিম দুবাই চলে যায়। কাছারিক্ািন্দ দুধ মিয়ার বাড়িটি ছিল একটি মাদকের আস্তানা। দুধ মিয়া ও তার ছেলে মহসিন বিদেশ যাওয়ার পর বাড়িটি হয়ে উঠে মাদকের আড্ডাখানা। প্রতিদিন রাতে বিভিন্নপেশার মানুষেরা মাদকের নেশা ছুটে যেত এই বাড়িতে। পুত্রবধূ মুক্তা আক্তার এইগুলি পছন্দ করতো না। সে শাশুড়ীর কাছে প্রতিবাদ করতো। এই প্রতিবাদ তার জীবনে কাল হয়ে আসবে জানতো না। একদিন রাতে যুবলীগনেতা তুলাতুলি গ্রামের মোঃ মিলন ও মিয়া তাহার সাঙ্গ পাঙ্গ নিযে রাতে হাজির হয় সে বাড়িতে। মোঃ মিলন,মোঃ জামাল মেম্বার,ওয়াসিম, ফারুক এই চারজনে মিলে সারারাত মদ পান করে এবং সারারাত মুক্তা আক্তারকে জোর করে ধর্ষন করে। ভোর রাতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মানুষজন ঘুম থেকে জেগে উঠার আগে মুক্তার লাশটি পায়খানার ময়লার ট্যাংকির মুখ খুলে লাশটি ভিতরে ফেলে দেয়। ট্যাংকির ময়লার মুখটি নতুন সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে বন্ধ করে দেয়। সকালে চলে যায় উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ সালামের বাসভবনে। ঘটনাটি বলে,গৃহবধূ মুক্তা আক্তার ১০ ভরি স্বর্ন ও ৫ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন,থানাতে জিডি করতে। থানায় জিডি হয় নিহত মুক্তার নামে। পুলিশ কাছারিকান্দি গ্রামের দুধ মিয়ার বাড়ি যায়। তদন্তকারী পুলিশ অফিসার চারিদিকে ঘুড়াঘুড়ি করে ময়লার ট্যাংকি নতুন প্রলেপ দেখায় সন্দেহ হয়। ময়লার ট্যাংকির খোলার পর নিহত মুক্তার আক্তারের লাশ বেড়িয়ে আসে। দুই জন আদালতে স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মেঘনা থানার এসআই মোঃ সাইদুর রহমান বিস্তারিত চার্জশীটে উল্লেখ করেন। মেঘনার মানুষ কিছু যুবলীগ নামধারীদের নিকট জিম্মি। মেঘনার মানুষ এই সব সন্ত্রাসদের থেকে মুক্তি চায়। সাধারন মানুষ ও প্রশাসন হয়ে পড়েছে কিছু লোকের কাছে জিম্মি।