ভিডিও থেকে নেয়া ছবি
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আইন আদালত প্রতিনিধি,সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ || চৈত্র ১১ ১৪৩১ :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জুলাই-আগস্টে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হকসহ ৬ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
অন্যান্য আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া এবং ডিএমপির মিরপুর বিভাগের সাবেক উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা, চঞ্চল চন্দন সরকার (সাবেক এএসআই), রাজন কুমার সাহা (সাবেক সহকারী পুলিশ কমিশনার) ও এসএম মাইনুল ইসলাম (সাবেক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার)।
সোমবার (২৪মার্চ) সকাল সাড়ে ৯ টায় পৃথক তিনটি মামলায় ছয় আসামিকে ঢাকা কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগার এবং গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের গ্রেপ্তার ও প্রতিবেদন দাখিলের উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যে রাজধানীর কল্যাণপুরে জাহাজ বিল্ডিং নামের একটি বাসায় ২০১৬ সালে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানের নামে নাটক সাজিয়ে নয়জন ইসলামী মনোভাবাপন্ন যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হকসহ সাবেক তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
Advertisement
রাজধানীর কল্যাণপুরে জাহাজ বিল্ডিং নামের একটি বাসায় ২০১৬ সালে কথিত জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের নামে ৯ জনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিঞাসহ ৩ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। সেই সাথে রামপুরায় কার্নিশে ঝুলন্ত যুবককে দফায় দফায় গুলির ঘটনায় এসি রাজন কুমারসহ ২ জন ও গাবতলী এলাকায় গণহত্যার ঘটনায় এসি এসএম ময়নুল ইসলামকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
২০১৬ সালের ২৬ জুলাই রাজধানীর কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন ৫ নম্বর সড়কের জাহাজ বিল্ডিং নামের একটি বাসায় থাকা ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের অভিযানে নয়জন ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে বলা হয়। ওইদিন অভিযান শেষে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তৎকালীন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক।
Advertisement
তিনি বলেছিলেন, নিহত ব্যক্তিরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য। ওই বাড়ি থেকে গুলশানের মতো বড় হামলার পরিকল্পনার তথ্য পুলিশের কাছে আগে থেকেই ছিল।