ঢাকা: কাঁধের পুরোনো ইনজুরি হঠাৎ-ই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মোস্তাফিজুর রহমানের। গতকাল গ্লস্টারশায়ারের বিপক্ষে রয়্যাল লন্ডন কাপ ওয়ানডের টুর্নামেন্টের ম্যাচটিতে তাই মাঠে নামেননি বাড়তি সতর্কতা হিসেবে। বিসিবির তরফ থেকে মোস্তাফিজকে ব্যবহার করার ব্যাপারে দিক-নিদের্শনা ছিল, হালকা ব্যথা থাকলেও খেলবে না মোস্তাফিজ।
গতকাল সাসেক্স টুইট করে জানায়, মোস্তাফিজের চোট গুরুতর নয়। সোমবার (২৫ জুলাই) মিরপুরে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর সঙ্গে আলাপ সেরে চোট নিয়ে একই কথা জানালেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন, ‘আমার মনে হয় এটা অতটা সিরিয়াস কিছু না। আজকে এমআরআই করানো হলে বোঝা যাবে ওর কি অবস্থা। বোঝা যাবে কতটুকু ব্যথা কিংবা ইনজুরিটা কেমন। কাঁধের কোনো স্পেশালিস্টের কাছেই দেখানো হবে তাকে। এখনই দেশে আনার ব্যাপারে কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই।’
চোট গুরুতর হলে মোস্তাফিজকে ইংল্যান্ডে রেখে পুরোপুরি সুস্থ করে দেশে আনার ব্যাপারে মত দিলেন সাবেক এ ক্রিকেটার, ‘নিঃসন্দেহে ইংল্যান্ডে ভালো চিকিৎসা হয়। আমরা এই সুযোগটা মিস করবো কেন? আমাদেরও প্রেসক্রিপশন ছিল ওর যদি হলকা ব্যথা থাকে সেটি নিয়ে মোস্তাফিজ খেলবে না। ইনজুরিটা যদি বড়ই হয় তাহলে ওখানে থেকে তা সারিয়ে আমার মনে হয় দেশে আনা ভালো হবে।’
এ বছর বেশ কয়েকবার ইনজুরিতে পড়েছেন ‘কাটার মাস্টার’ মোস্তাফিজুর রহমান। ইনজুরির কারণ হিসেবে খালেদ মাহমুদ ধারণা করছেন বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনতে গিয়ে এমন হচ্ছে, ‘মোস্তাফিজ হয়তো নতুন কোনো কিছু করতে চাচ্ছিলো বোলিংয়ে। সে তো নতুন নতুন কিছু এক্সপেরিমেন্ট করে। ইনজুরিটা ওখানে থেকেও আসতে পারে। অতিরিক্র বোলিং করার কারণেও এমনটা হতে পারে। তাকে ঘিরে সবার প্রত্যাশা অনেক-এমন চাপ থেকেও হতে পারে। সে স্লোয়ারগুলো যেভাবে করে, তাতে সবসময় নতুনত্ব আনতে চায়। কারণ মোস্তাফিজ জানে আন্তর্জাতিক খেলা মানে প্রতিদিন ওকে ফলো করা হচ্ছে, তার বোলিং সম্পর্কে জানছে ক্রিকেট বিশ্ব।’
প্রথমবারের মতো কাউন্টিতে খেলতে গিয়ে দুর্দান্ত অভিষেক হয় মোস্তাফিজুর রহমানের। সাসেক্সের এই পেসার এসেক্সের বিপক্ষে চার ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে নেন চার উইকেট। সারের বিপক্ষে পরের ম্যাচে অবশ্য নিষ্প্রভ ছিলেন মোস্তাফিজ। ওই ম্যাচেই কাঁধে ব্যাথা অনুভব করেন তিনি। ম্যাচ শেষে ব্যথাটা বেড়ে যাওয়ায় ওয়ানডেতে তাকে মাঠে নামানো হয়নি।