ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি, যুবলীগ কর্মীসহ গ্রেপ্তার ১২ (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),রাজধানীর ধানমন্ডি  প্রতিনিধি,মঙ্গলবার   ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ||  মাঘ ২৮ ১৪৩১ :

রাজধানীর ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় মতিঝিল এলাকার যুবলীগ কর্মীসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানসহ মুন্সিগঞ্জ থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

Advertisement

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বেল্লাল চাকলাদার, মো. মঞ্জু, সাইফুল ইসলাম, মো. রাসেল, মো. জাহিদ, মো. জাকির ওরফে তৌহিদ, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. হিরা শেখ, মো. রফিক, মো. বাধন, চাঁন মিয়া ও মো. আসলাম খান।

আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম।

ডিসি জানান, গত ২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার উদ্দেশে পাম অয়েলের চালান নিয়ে ট্রাকে করে রওনা হন চালক মো. নয়ন ও হেলপার মো. জামিরুল ইসলাম। রাত ৩টার দিকে ধানমন্ডির মিরপুর রোডের হোটেল আড্ডার সামনে সাত-আটজনের একটি ডাকাত দল দুটি মাইক্রোবাসে করে এসে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ট্রাকের গতিরোধ করে। এরপর চালক ও হেলপারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ট্রাকসহ অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে তাঁদের চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে হাত ও চোখ বেঁধে কেরানীগঞ্জের রসুলপুর এলাকায় ফেলে দেয়।

একই কৌশলে গত ২২ জানুয়ারি রাত ৩টার দিকে মোহাম্মদপুরের রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ গেটের সামনে থেকে ৭৫ ড্রাম সয়াবিন তেলবোঝাই আরেকটি ট্রাক ডাকাতি করা হয়।

ডাকাতির ঘটনায় তদন্তে নামে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। গত ৩০ জানুয়ারি মগবাজারে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ৪ ফেব্রুয়ারি কেরানীগঞ্জের আরশিনগর থেকে মূল হোতা মো. জাকির ওরফে তৌহিদসহ বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মুন্সিগঞ্জের বিসিক এলাকার একটি গোডাউন থেকে ডাকাতি হওয়া ১০টি তেলভর্তি ড্রাম, ৩৬টি খালি ড্রাম, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি নোহা গাড়ি, কয়েকটি বাটন ফোন ও একটি লুট হওয়া ট্রাক উদ্ধার করা হয়।

ডিসি মাসুদ আলম জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার বেল্লাল চাকলাদার মতিঝিল ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের কর্মী। তাঁর বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় একটি এবং উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে।

Advertisement

 

ডাকাতির আগে তাঁরা নির্দিষ্ট স্থানে একত্র হন এবং সাধারণত বাটন ফোন ব্যবহার করেন। ডাকাতি শেষে মোবাইলের সিমসহ ফোন ফেলে দিয়ে নিজ নিজ এলাকায় পালিয়ে যান।

গ্রেপ্তার ১২ জন। ছবি: সংগৃহীত