ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ধানমন্ডি প্রতিনিধি,শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ || মাঘ ২৫ ১৪৩১ :
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির নিচে বহুতলের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছেন ছাত্র-জনতা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মাটির নিচে একাধিক তলা রহস্যজনকভাবে পানিতে পরিপূর্ণ!
Advertisement
৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির আন্ডারগ্রাউন্ডে ‘আয়নাঘর’ রয়েছে— এমন চাঞ্চল্যকর খবর শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। দাবি করা হচ্ছে, সেখানে মানুষের মাথার চুলও পাওয়া গেছে। এ নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে এ বিষয়ে মতামত দিচ্ছেন, কেউ কেউ বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছেন।
বিষয়টি যখন তুমুল আলোচনা সৃষ্টি করে, তখন ইত্তেফাক ডিজিটাল প্রতিবেদক সরেজমিনে গিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে সত্যতা যাচাই করেন।
Advertisement
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবনে দুইতলা পর্যন্ত কনস্ট্রাকশনের কাজ শেষ হয়েছে। ভবনটির আন্ডারগ্রাউন্ডে আরও কয়েকটি তলা রয়েছে।
দু্লাই পর্যন্ত নিচে নামার পর এটি মূলত একটি পার্কিং এরিয়া বলে মনে হয়েছে। তবে এর নিচে আরও একাধিক তলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনতলার নিচের ফ্লোর পানিতে পূর্ণ থাকায় কেউ সেখানে নামার সাহস করেনি। স্বচ্ছ পানির কারণে নিচে যাওয়ার সিঁড়িগুলো স্পষ্টভাবে দেখা গেছে, যা ভবনের আরও গভীরে তলার অস্তিত্বের ইঙ্গিত দেয়।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে বাড়িটিতে ব্যাপক ভাঙচুরের চালানো হয়। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারও সেখানে মানুষের ভিড় ছিল।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘বাড়ির নিচে আমরা কয়েকটি কক্ষের সন্ধান পেয়েছি, কিন্তু সেখানে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি, কারণ পুরো জায়গাটি পানিতে ভরা। এটি খুবই সন্দেহজনক।’
অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ‘এই বাড়ির নিচতলার পাঁচতলা কাঠামোতে আওয়ামী লীগ তাদের নিজস্ব বাহিনী দিয়ে আরেকটি আয়নাঘর তৈরি করেছে।’
Advertisement
ছাত্র-জনতার দাবি, ‘এ গোপন কাঠামো সম্ভবত আয়নাঘর হতে পারে, যেখানে গোপনে নির্যাতন চালাত শেখ হাসিনার বাহিনী। ডিজিএফআই এবং ডিবি, আয়নাঘরের আড়ালে হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ আরেকটি নতুন আয়নাঘর তৈরি করেছে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে, এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা মতামত দিচ্ছেন যে, তদন্তের মাধ্যমে এর সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন।