ঢাকা: গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রোস্তোরাঁটি অবৈধভাবে গড়ে উঠেছিল জানিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন রেস্টুরেন্টটির মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।
রোববার (১৭ জুলাই) সচিবালয়ে বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা অননুমোদিত অনাবাসিক স্থাপনা ও ভবনগুলো উচ্ছেদ সংক্রান্ত সভার শুরুতে একথা বলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী।
গত ১ জুলাই গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ওই রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জিম্মি খুন হন। উদ্ধার অভিযানে দুই পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। পরে সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডো অভিযানে জড়িত ছয় সন্ত্রাসী নিহত হয়।
রেস্তোরাঁটি অবৈধভাবে গড়ে উঠেছিল বলে জানান গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী।
‘কিছু দিন আগে গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি রোস্তোরাঁয় ‘অবৈধভাবে এবং উইদাউট এনি টেকিং পারমিশন’ তারা সেখানে একটা রেস্টুরেন্ট চালু রাখছিল, সেখানে একটা ঘটনা ঘটেছে। এটা প্রথমবার বাংলাদেশে ঘটেছে, অনেকগুলো বিদেশিকে তারা সেখানে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।’
হলি আর্টিজান বেকারির মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, অবশ্যই, যে মালিক হলি আর্টিজান বেকারি করছে এবং উইদাউট পারমিশন, অফকোর্স আমি মনে করি তার বিরুদ্ধে একটা অ্যাকশন নেওয়া উচিত।
অ্যাকশনে যাবেন কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যাবো, নিশ্চয়ই যাবো।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এখন সারা বাংলাদেশে আমরা স্ট্যান্ড নিয়েছি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি করছি। যাতে করে জঙ্গিরা আর হামলা করতে না পারে।
‘প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। প্রধানমন্ত্রী শুধু একা নন, তার সঙ্গে সারা বিশ্ব নেতারা একমত হয়েছেন যে, এই জঙ্গির বিরুদ্ধে স্ট্যান্ড নিয়েছে।’
গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার ছাড়াও সভায় রাজউকসহ অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৬