হাতকড়া পরিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ এসআইয়ের বিরুদ্ধে

SHARE

সবুজ সরকার (বামে) ও অভিযুক্ত এসআই আবদুল কুদ্দুস। ছবি: সংগৃহীত

য়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),গাজীপুরের শ্রীপুর প্রতিনিধি,সোমবার   ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২২ ১৪৩১ :

গাজীপুরের শ্রীপুরে এক ব্যবসায়ীকে হাতকড়া পরিয়ে আটকের পর দুই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে।

আটকের পর ওই ব্যবসায়ী হাতকড়া পরা অবস্থায় মোবাইল ফোনে সেলফি তুলে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। এরপর আটক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিয়ে টাকাও ফেরত দিয়েছেন অভিযুক্ত এসআই। তবে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন তিনি।

Advertisement

জানা গেছে, গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার নয়নপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সবুজ সরকার শ্রীপুর উপজেলার ধনুয়া গ্রামের আফতাব উদ্দিন সরকারের ছেলে। তিনি নয়নপুর হানু মার্কেটে মোবাইল ও মোবাইল অ্যাকসেসরিজের ব্যবসা করেন। অভিযুক্ত এসআইয়ের নাম আবদুল কুদ্দুস। তিনি মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ।

সবুজ সরকার অভিযোগ করে বলেন, পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচা সুলতান সরকারের ইশারায় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আবদুল কুদ্দুস তাকে আটক করেন। আটকের পর পানির পাইপের সঙ্গে তাকে হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়। এসময় তার সঙ্গে থাকা দুই লাখ টাকাসহ একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেন পুলিশের ওই এসআই।

Advertisement

পরে ফাঁড়ির পাশে পানির পাইপের সঙ্গে তাকে হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়। ওই অবস্থায় তিনি মোবাইল ফোন থেকে সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন। ফেসবুক পোস্ট নজরে আসলে তড়িঘড়ি করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর ছিনিয়ে নেয়া দুই লাখ টাকাও ফেরত পাঠিয়েছেন এসআই কুদ্দুস।

 সবুজ সরকারের ফেসবুক পোস্ট

সবুজ সরকার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। আমার বাবার সঙ্গে চাচা সুলতান উদ্দিন সরকারের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। আমার চাচার ইশারায় এসআই কুদ্দুস আমাকে আটক করেছিলেন।’

তবে অভিযুক্ত মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুল কুদ্দুস বলেছেন, তার বড় ভাই সুমন সরকারকে ভেবে সবুজ সরকারকে আটক করা হয়েছিল। তাকে পুলিশ ফাঁড়িতেও নেওয়া হয়নি। জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় তাকে আটক করা হয়। এছাড়া আটকের সময় সবুজ সরকারের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী যাবের সাদেক বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। সবুজ সরকারকে ডেকে পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Advertisement