ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),সিলেটের কানাইঘাট প্রতিনিধি, সোমবার ১১ নভেম্বর ২০২৪ || কার্তিক ২৭ ১৪৩১ :
দেশজুড়ে আলোচিত সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন (৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চার আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
Advertisement
আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী মো. আবু জাহের বাদল এ আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী মো. আব্দুল খলিক।
আসামিরা হলেন- কানাইঘাট থানার বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের মৃত ময়না মিয়া আলিফজান (৫৫) ও তার মেয়ে শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫), একই এলাকায় ইসলাম উদ্দিন (৪০) ও নাজমা বেগম (৩৫)।
এর আগে সকালে কড়া পহরায় আসামিদের আদালতে হাজির করে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। পরে বাদি পক্ষের আইনজীবীরা সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
Advertisement
এদিকে, নিখোঁজের আটদিন পর গতকাল রোববার (১০ নভেম্বর) ভোরে বাড়ির পাশের একটি নালা থেকে মুনতাহার নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় শিশুটির গলায় রশি পেঁচানো ছিল। সে কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়াারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে। পুলিশের ধারণা, পূর্ব শত্রুতার জেরে শিশু মুনতাহাকে খুন করা হয়েছে। সাবেক হাউস টিউটর মর্জিয়াকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় মুনতাহার পরিবারের উপর তার ক্ষোভ ছিল। এছাড়া মার্জিয়ার উপর চুরির অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকে এ হত্যা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের সময় মুনতাহার শরীরে কাদা লেগে ছিল। গলায় রশিজাতীয় কিছু প্যাঁচানো ছিল। সন্দেহ করা হচ্ছে, গলায় রশিজাতীয় কিছু দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গত শনিবার (৯ নভেম্বর) কানাইঘাট থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি অপহরণ মামলা করেন। রবিবার মরদেহ উদ্ধারের পর সেটিকে হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। ওই মামলায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
কোর্ট ইন্সপেক্টর জামসেদ আলম, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সাথে আর কেউ জড়িত আছে কি না তা রিমান্ডের পর জানা যাবে।
Advertisement
প্রসঙ্গত, গত ৩ নভেম্বর সকালে মেয়ে ও ছোট ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরেন শামীম আহমদ। এরপর মুনতাহা প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায়। বিকেল ৩টার দিকে তাকে খুঁজতে গিয়েও কোনো সন্ধান পায়নি পরিবার। খেলার সাথীরাও মুনতাহার বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি।