ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি) ,আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ :
রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘ড্রাগন ড্রোন’ ব্যবহার করছে ইউক্রেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ড্রোন ব্যবহারের বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
Advertisement
মূলত ড্রাগন ড্রোনে ব্যবহার করা হয় অ্যালুমিনিয়াম গুঁড়া ও আয়রন অক্সাইডের উত্তপ্ত মিশ্রণ, যা থার্মাইট নামে পরিচিত। এটি ৪ হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইট (২ হাজার ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপমাত্রায় পুড়তে থাকে। গাছ বা রুশ সেনাদের গোপন আশ্রয়স্থল পুড়িয়ে দিতে এ ড্রোন ব্যবহার করছে ইউক্রেন।
এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন বলেছে, ড্রাগন ড্রোন মূলত পুরোনো যুদ্ধাস্ত্রের নতুর রূপ। থার্মাইট প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলেছিল। ড্রোনের সঙ্গে থার্মাইট ব্যবহার করে ‘ড্রাগন ড্রোন’ তৈরি করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ড্রোন ব্যবহারের বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামেও ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত বুধবার (৪ আগস্ট) এ ড্রোনের ভিডিও প্রকাশ করে।
এতে দেখা যায়, এ ড্রোন তুলনামূলকভাবে কম উচ্চতায় ওড়ে ও আগুনের বৃষ্টি ঝরায়। গলিত লোহা যখন ড্রোন থেকে পড়তে থাকে, তখন একে মনে হয় পৌরাণিক কাহিনীর ড্রাগনের মতো মুখ দিয়ে আগুন ঝরাচ্ছে। তাই এ ড্রোনের নাম দেয়া হয়েছে ড্রাগন।
Advertisement
ইউক্রেনের ৬০তম মেকানাইজড ব্রিগেড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছে, ‘স্ট্রাইক ড্রোন আমাদের প্রতিশোধের ডানা। সরাসরি আকাশ থেকে আগুন নিয়ে আসে। এ ড্রোন আমাদের শত্রুদের জন্য সত্যিকারের হুমকি হয়ে এসেছে। এ ড্রোন শত্রুর অবস্থান এমন নিখুঁতভাবে পুড়িয়ে দেয়, যা অন্য কোনো অস্ত্রে সম্ভব হয় না।’
প্রতিরক্ষাশিল্প বিষয়ক বিশ্লেষক ও সাবেক ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা নিকোলাস ড্রামন্ডের মতে,‘ ভয় সৃষ্টি করা সম্ভবত ইউক্রেনের থার্মাইট ড্রোনের প্রধান প্রভাব। এটা খুব বাজে জিনিস। ভয় ধরাতে ড্রোন ব্যবহার করা বেশ উদ্ভাবনী। কিন্তু এ ধরনের ড্রোন ব্যবহার শারীরিক ক্ষতির চেয়ে মানসিক ক্ষতির কারণ হয় বেশি।’
নিকোলাস ড্রামন্ড বলেন, ‘আমি বুঝি, ইউক্রেনের থার্মাইট প্রভাব দেয়ার সীমিত ক্ষমতা আছে। তাই একে মূলধারার অস্ত্রের পরিবর্তে একটি বিশেষ ক্ষমতা বলা যেতে পারে।’ তবে, তিনি থার্মাইটের ফলে সৃষ্ট ভীতির কথা স্বীকার করেন।
Advertisement
উল্লেখ্য, থার্মাইট যেকোনো জিনিস খুব সহজেই পোড়াতে পারে। যেকোনো ধাতব পদার্থও এটি পুড়িয়ে দেয়। এ থেকে সুরক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।