ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি) ,খেলাধূলা প্রতিনিধি ,বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১ :
চোখের সামনে বাবা-মাকে নির্মমভাবে খুন হতে দেখার দুঃসহ স্মৃতি নিয়েই বেড়ে উঠছে মেঘ। সে হয়তো জানেও না তাকে নিয়ে তার মা মেহেরুন রুনি এবং বাবা সাগর সারোয়ারের কী স্বপ্ন ছিল। তবু নিজের মনের মত করে স্বপ্ন একেঁ চলেছে মেঘ। চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া মেঘের দুচোখ জুড়ে স্বপ্ন এখন বড় ক্রিকেটার হয়ে দেশের জন্য লড়ে যাওয়া
Advertisement
মা বাবা দুজনেই ছিলেন সাংবাদিক। যারা সবসময় অন্যায়-অবিচার ও দুর্নীতিকে জনসমক্ষে তুলে ধরে দেশের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। কে জানে, একমাত্র সন্তানকে নিয়ে হয়তো তাদেরও স্বপ্ন ছিল সে বড় হয়ে দেশের জন্য কাজ করুক, দেশের হয়ে লড়ুক। আপন খেয়ালেই হয়তো বাবা মায়ের এ স্বপ্ন নিজের মনে ধারণ করে ফেলেছে মেঘ। তার দুচোখ জুড়ে স্বপ্ন এখন কেবলই একজন ক্রিকেটার হওয়া।
শনিবার সকালে দুই মামা নওশের আলম রোমান এবং নওজেশ আলমের সঙ্গে এলেন আজিমপুরে কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরে দোয়া করতে। পড়নে কালোর মাঝে সাদা চেকের পাঞ্চাবি, মাথায় একই রঙের রাবারের টুপি। কবরের কাছে আসতেই কেমন হতবিহ্বল চেহারা ফুটে উঠলো কচি মুখটায়। একবার মায়ের কবরের পাশে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকছে, কিছুক্ষণ আবার বাবার কবরের পাশে। আকাশের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে কী যেন বলছিল মেঘ।
মামাদের সঙ্গে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নিয়ে ফেরার পথে ছুয়ে পরম মমতায় ছুয়ে আসতে দেখা গেল মা বা দুজনেরই কবরের মাটি।
Advertisement
ফেরার পথে সাংবাদিকরা তার নানাদিকসহ জানতে চাইলেন তার স্বপ্ন কী, বড় হয়ে সে কী হতে চায়। মেঘের সাফ জবাব, ‘বড় হয়ে আমি একজন ক্রিকেটার হতে চাই।’
মামা নওজেশ আলম রোমান জানালেন, মেঘ এখন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টিউটোরিয়ালে( বিআইটি) চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে। পড়াশুনার পাশাপাশি মেঘের ইচ্ছে অনুযায়ী তাকে কখনও কখনও ক্রিকেট প্রাকটিস করতে নিয়ে যান।
Advertisement
তবে আরেকটু বড় হলে তাকে নিয়মীত অনুশীলনের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানান মেঘের মামা রোমান।