ডিবি হেফাজতে কিংফিশার বারের মালিক মুক্তার
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি, বুধবার , ২৬ অক্টোবর ২০২২ : রাজধানীর উত্তরার একটি বারে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বোতল দেশি-বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বারটিতে মদ বিক্রি ছাড়াও অসামাজিক কার্যক্রম হতো বলে দাবি গোয়েন্দা পুলিশের। এদিকে সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জানান, বারটির বৈধ কাগজপত্র আছে কি-না এবং বিদেশি মদ কোন প্রক্রিয়ায় আনা হয়েছে, তা তদন্তাধীন।
লাইসেন্সবিহীন মদের বার স্থাপন এবং অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে রাজধানীর উত্তরার-১৩ নম্বর সেক্টরের কিংফিসার রেস্টুরেন্টের লেক ভিউ বারে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ।
অভিযানে দুইশ’র বেশি বিদেশি মদ ও সাড়ে ৫ হাজার বোতল বিয়ার জব্দ করা হয়। এ সময় বারের কর্মচারীসহ একশ’রও বেশি মানুষকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে গ্রেপ্তার দেখানো হয় বারের ৩৮ কর্মচারীকে।
আটককৃতদের দাবি অন্যায়ভাবে তাদেরকে ধরা হয়েছে।
আটক হওয়া একজন বলেন, এখান থেকে কোথায় নিয়ে যাবে আমাদেরকে?
বার কর্তৃপক্ষ অনুমোদনের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। সেখানে অসামাজিক কার্যকলাপ হতো বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।
গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি (উত্তরা) আকরামুল হোসেন বলেন, আমরা নিয়ে গেছি ৭০ জনের মতো। আমরা এখন যাচাই বাছাই করে দেখি, কে কতটুকু জড়িত, কীভাবে জড়িত? সেগুলো দেখে আমরা বিবেচনা করব। আমরা ৫ হাজার ৪০০ বিয়ার এবং ২০০ বোতল মদ জব্দ করেছি।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ জানান, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে বারটিতে অভিযান চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, মালিক হলো মুক্তার নামে এক ভদ্রলোক। একই লাইসেন্স কি-না জানি না। তারা একটা মিরপুরে চালায়, আরেকটা গুলশান-২ এ, আরেকটি চালায় কিংফিশার বার। আর আমরা গতকাল অভিযান চালিয়েছি উত্তরার কিংফিশার রেস্টুরেন্ট, বার নয়। সে নারায়ণগঞ্জেও আরও একটি চালায়।
ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, জনৈক মুক্তার ২০০৮ সালের দিকে বারিধারার ব্যাবিলিয়ন রেস্টুরেন্টের ওয়েটার ছিল। এছাড়া গুলশান-২ এর লেকভিউ হোটেলেরও সে ওয়েটার ছিল। ওই ওয়েটার থেকে সে এখন শত কোটি টাকার মালিক। তার স্ত্রী, সন্তান আমেরিকায় বারি-গাড়ি কিনে সেখানে বসবাস করে।
তিনি বলেন, এই বিদেশি মদগুলো কীভাবে, কোথা থেকে আনলেন, কী জন্য চালান, কেন বিক্রি করেন-তার কোনো কিছুরই সদুত্তর দিতে পারে নাই তারা। কাগজ দেখাতে পারে নাই। সে কারণে আমরা সেখান থেকে ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করি। উত্তরা পসগচিম থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এর সঙ্গে আরও কারা জড়িত, তাদের আমরা খুঁজে বের করব।
এই প্রতিষ্ঠানের মালিকের রাজধানী ও নারায়ণগঞ্জে পাঁচটি বার রয়েছে। যেগুলোর কাগজপত্র বৈধ কি-না, তা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা পুলিশ।