ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),গাজীপুর প্রতিনিধি, বুধবার , ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ : বগুড়ায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা করে ১৬ বছর পালিয়ে থেকেও শেষরক্ষা হয়নি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. উজ্জ্বল প্রামাণিকের। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকার আশুলিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মলেনে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, ২০০৬ সালের জুনে আলো বেগমের সঙ্গে উজ্জলের বিয়ে হয়। বিয়ের আগেই উজ্জল যৌতুক দাবি করলে, তাকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের পরে আবারও ৫০ হাজার টাকা দিতে উজ্জল ও তার পরিবার নানাভাবে চাপ দিতে থাকে। এমনকি আলোর বাবা যৌতুকের টাকা দিতে না চাইলে তালাক দেওয়ার ভয় দেখান এবং আলোর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় উজ্জলের পরিবার।
এরপর ওই বছরের ১ আগস্ট আলোর পরিবারকে ফোনে জানানো হয়, তাদের মেয়ে গুরুতর অসুস্থ। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন আলোর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখেন তার লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। এ ঘটনায় উজ্জলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এ দিকে স্ত্রীকে হত্যার পর মাকে নিয়ে গাজীপুরে পরিচয় গোপন রেখে বসবাস শুরু করেন উজ্জল। স্থানীয় একটি দোকানে দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরিতে কাজ শুরু করেন এবং নাছিমা খাতুন নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। তাদের দুই ছেলে রয়েছে। নাছিমাও একটি গার্মেন্টস কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
আরিফ মহিউদ্দিন আরও জানান, পালিয়ে আসার পর থেকে উজ্জল বগুড়ায় নিজ বাড়ি ও তার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছেন। এর মধ্যে গত ২৪ জুলাই বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ উজ্জলকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অভিযুক্ত অন্য চারজনকে খালাস দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডের রায়ের খবর শুনার পর পরিবার নিয়ে আশুলিয়ায় একটি ভাড়া বাসায় চলে যান উজ্জল।
তবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।