ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি), লালমনিরহাটের সদর প্রতিনিধি,বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২ : লালমনিরহাটের এক গৃহবধূকে ঘরে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। পরে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আদিতমারী পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর নাম মাহমুদা বেগম (৩০)। তিনি সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামনাম গ্রামের মহির উদ্দিনের মেয়ে। অভিযুক্ত খুরশীদ আলম (৩৫) পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ি এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, ২০১৮ সালে খুরশীদ আলমের সাথে মাহমুদা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই খুরশিদ তার স্ত্রীকে কারো কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা ধার নিয়ে দিতে বলেন। পরে মাহমুদা তার এক স্বজনের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা কিছুদিনের জন্য ধার নিয়ে খুরশীদ আলমকে দেন। ধারের টাকা ফেরত দিতে বেশ কিছুদিন ধরে টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন খুরশীদ আলম।
মাহমুদা ধার পরিশোধের জন্য চাপ দেওয়ায় গত ২৩ এপ্রিল সকালে খুরশীদ তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন এবং শয়নকক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন। এভাবে সোমবার দুপুর পর্যন্ত মাহমুদাকে থেমে থেমে মারধর ও নির্যাতন চালাতে থাকেন। এ অবস্থায় মাহমুদা তার শ্বশুরকে ফোন দিয়ে জানায়। তার শ্বশুর সোমবার দুপুরে ৯৯৯ ফোন করে পুলিশকে জানালে আদিতমারী থানা পুলিশ তাকে ওইদিন বিকেলে উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. সাহাদৎ হোসেন জানান, মাহমুদা চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার শরীরে আঘাতের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। বুকে, পেটে ও পিঠে আঘাতের ক্ষত রয়েছে।
এদিকে আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোত্তাদির ইসলাম জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আসামিকে গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাহমুদার বাবা মহির উদ্দিন জানান, মামলার প্রস্তুতি চলছে।