ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,রোববার, ২৪ এপ্রিল ২০২২ : “মাঝেমধ্যে মনে হয় আল্লাহর উপর কারো হাত নেই। আল্লাহ যেভাবে বাঁচিয়ে রেখেছে সেভাবেই আমি খুশি। তবে জীবনে চলতে গেলে ওই জিনিষটা রাখতে পারি না। সংসারে সব কাজ করতে পারি না। অনেক কথা শুনতে হয়।”
আক্ষেপ করে এসব কথা বলছিলেন সাভারের রানা প্লাজায় পা হারানো রেহানা খাতুন। নয় বছর আগে, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ওই ঘটনার দিন রানা প্লাজার ৭ তলায় ছিলেন রেহানা। ২০ ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করা হলেও শেষ পর্যন্ত রাখা যায়নি রেহানার পা-দুটো।
জীবনের ব্যাখ্যা এখন ভিন্ন রেহানার কাছে। আক্ষেপের সুর কণ্ঠে তার। সময়ের সাথে সাথে কেউ মনে রাখেননি তাদের।
তিনি আরও বলেন, কষ্ট, দুঃখ, কান্না হাসি নিয়ে আমাদের জীবন। কেউ এখন আমাদের কথা শুনতেও চায় না গুরুত্বও দেয় না।
সেসময়ের কিশোরী রেহানা এখন ৩ সন্তানের মা। স্বামীসহ থাকেন সাভারে সিআরপির কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কোয়ার্টারে। যেখানে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা নিয়েছেন রেহানা। সেখানেই বিয়ে হয় তার। স্বামী খোকন কর্মরত সিআরপির অ্যাডমিন শাখায়।
রেহানাকে বিয়ের পর সবার প্রশংসায় ভেসেছিলেন স্বামী খোকন। ৭ বছর আগের যে যাত্রা রেহানাকে নিয়ে, তার কাছে জীবন বাস্তবতা এখন বড্ড কঠিন।
খোকন বলেন, কথা বলা বা উপদেশ দেওয়া আর একজন প্রতিবন্ধীকে নিয়ে সংসার করা অনেক পার্থক্য। তাদের নিয়ে যারা সমাজে বসবাস করছে তারাই জানে বিষয়টা কতো কঠিন।
রেহানাদের এমন আত্মত্যাগের হাত ধরে আজকের বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প। তাদের যেন সমাজ ভুলে না যায়, বিদায় বেলায় এই আকুতি ছিল এই দম্পতির।