ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,রোববার, ০৩ এপ্রিল ২০২২ : টিপু হত্যাকাণ্ডের পর ফের আলোচনায় ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড। দীর্ঘ বিরতির পর প্রকাশ্যে খুনের ঘটনায় বেরিয়ে আসছে ঘটনার পেছনের ঘটনা। ক্যাসিনোকাণ্ডের পর অনেকটা নিরুত্তাপ ছিল ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড। তবে টিপু হত্যা দিয়ে আবারও মাঠ দখলের প্রক্রিয়া শুরু বলে ধারণা গোয়েন্দাবাহিনীর।
আলোচিত টিপু হত্যা রহস্যের জট খুলতে যেয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর সামনে নতুন করে এসেছে ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড তৎপরতা।
গোয়েন্দা তথ্য বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই রাজধানীর কালো জগতের নিয়ন্ত্রক জিসান, মানিক, ইকতিয়ার ও খালিদ।
শুটার মাসুমকে গ্রেপ্তারের পর খুলতে শুরু করেছে হত্যার রহস্যজট। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের আধিপত্য বিস্তারসহ পুরোনো খুনের জেরও প্রভাব ফেলেছে টিপু হত্যাকাণ্ডে। অন্তত এক ডজন ব্যক্তি রয়েছেন গোয়েন্দাদের জালে।
২০০১ সালের পর শীর্ষসন্ত্রাসীর তালিকায় নাম এলে বিদেশে পালিয়ে যান মানিক। ২০০৫ স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কাওছার। এ সময়ই খালিদের সঙ্গে জোট বেঁধে দৃশ্যপটে, পরবর্তীতে ক্যাসিনোকান্ডের হোতা সম্রাট।
ক্রমেই জিসান-মানিকের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে তাদের। খালিদ ও সম্রাট গ্রেপ্তার হলে বাড়তে থাকে কাওছারের ঘনিষ্ট বড় ভাই টিপুর আধিপত্য। আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রন নিতে দেশে আসে কাওসার হত্যাকান্ডের আসামী সটগান সোহেল। এদিকে টিপুকে ফাঁসাতে ২০১৬ সালে তারই বন্ধুর ছেলে বোচাবাবুকে খুন করে কিলার মুসা। দৃশ্যপটে আবির্ভাব ইন্দনদাতা ওমর ফারুক ও সাগরের। কিন্তু নিজেরাই ফেঁসে যায় তারা।
বোচাবাবু হত্যার রায়ের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসতে থাকলে বোচাবাবুর বাবাকে মামলা তুলে নিতে ত্রিশ লাখ টাকার প্রস্তাব দেয় কিলার মুসা। কিন্তু টিপুর বাধায় ভেস্তে যায় সব। আর তখনই ঘটে ক্ষোভের চূড়ান্ত বিস্ফোরণ।
শুরু হয় টিপু হত্যার ছককাটা। মূসা ও ওমর ফারুকের নির্দেশে মাঠে নামে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোল্যা শামীম ও শুটার মাসুম। পেছন থেকে উস্কানি দেয় শীর্ষ সন্ত্রাসী মানিক ও জিসান।
টিপুহত্যার পরপরই মাঠে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। মতিঝিলের এডিসি সাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার হয় শ্যুটার মাসুম।
ডিবির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শাহীদুর রহমান জানান, আমরা মতিঝিল এজিবি কলনীর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করি, যেখান থেকে আওয়ামী লীগ নেতা টিপুর গাড়ি স্ট্যার্ট করেছিল। পরে ফুটেজ থেকে হেলমেট পরিহিত মটরসাইকেলসহ দুই জন আরোহীকে শনাক্ত করি।
হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগীতায় মোর্শেদ, ফরহাদ, শটগান সোহেল, নাসির, খাজা মহসিন, হোসেন, দামালসহ এক ডজনেরও বেশি নাম গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে।