ফেসবুকে পরকীয়া, স্বামী-সন্তান রেখে ঢাকায় এসে লাশ হলেন সাদিয়া

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা কদমতলী প্রতিনিধি,বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২ : ফেসবুকে পরিচয়ে ১০ বছরের সংসার ছাড়ার দুই মাসের মাথায় লাশ হতে হলো সাদিয়া আক্তার ইতি নামে এক নারীকে। বাসায় তালাবদ্ধ মরদেহ রেখে কথিত প্রেমিক ও অভিযুক্ত মেহেদী হাসান নিজেই হাজির হন থানায়।

তার দেওয়া তথ্যমতে, রাজধানীর কদমতলী মুরাদপুরের একটি টিনশেড বাসা থেকে রোববার দুপুরে ইতির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের।


পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত সাদিয়া স্বামী এবং দুই সন্তান রেখে পিরোজপুরের নেসারাবাদ থেকে ঢাকায় প্রেমিক মেহেদীর কাছে চলে আসেন। মেহেদীর বাসা থেকেই সাদিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
১০ বছরের সংসারে তার দুই সন্তান রয়েছে। সবকিছু ছেড়ে যে সাদিয়া নতুন সংসার পাতার স্বপ্ন চোখে নিয়ে মেহেদী হাসানের কাছে আসেন, সে-ই কাল হলো তার জীবনে। গত ১০ জানুয়ারি থেকে কদমতলীর উত্তর মুরাদপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন মেহেদী ও সাদিয়া। রোববার দুপুরে মেহেদী নিকটস্থ থানায় গিয়ে বলেন, সাদিয়া গলায় ফাঁস নিয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় সাদিয়ার বাবা শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সাদিয়াকে বুঝিয়ে বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করেছি, তবে কাজ হয়নি। মেহেদী আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’

মাত্র দুই মাস আগে গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর থেকে পালিয়ে এসে পিকআপ ভ্যানচালক মেহেদীর সঙ্গে উঠেছিলেন মুরাদপুরের ভাড়া বাসাটিতে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন তারা। স্বজনদের অভিযোগ, বনিবনা না হওয়ায় মেহেদী কোমরের বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তাকে।

তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ বলছে, এটি হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্তের জন্য ইতির মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কদমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে জানান, এ ঘটনায় সাদিয়ার প্রেমিক মেহেদী হাসানকে (৩০) আটক করা হয়েছে। মেহেদী পেশায় একজন পিকআপচালক।
এদিকে, রাজধানীর বাড্ডায় নিজ বাসার টয়লেট থেকে গৃহবধূর (আফরোজা) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ও গাড়িচালককে আটক করা হয়েছে। রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই বাসার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একজন বারবার সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করছেন। স্বামী আয়ান অফিস থেকে ফিরে বাসায় স্ত্রীকে রক্তাক্ত দেখে সাহায্যের জন্য ছুটে যান প্রতিবেশীর কাছে। রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ভাড়া থাকতেন তারা। মাত্র দুই মাস আগে তাদের বিয়ে হয়।
বাড্ডা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাকে এ ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আফরোজার পরিবার বলছে, কারও সঙ্গে বিরোধ ছিল না তাদের মেয়ের। প্রতিবেশীরা বলছেন, ঘটনার সময় তারা গাড়িচালককে বাসা থেকে বের হতে দেখেছিলেন।

এ ঘটনায় আফরোজার স্বামী আয়ান ও গাড়িচালক হৃদয় ব্যাপারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।